আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় নিঃসন্দেহে ছবির মুহূর্তটা তোলা থাকবে

kiron-1990-asia-cup                                     …আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের রেকর্ডের পাতায় ছবির মুহূর্তটা যে তোলা থাকবে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়…১৯৯০ সালের বছরের শেষ দিনটার(৩১ডিসেম্বর) কথা…ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিলো তৃতীয় এশিয়া কাপ ক্রিকেটের বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার ম্যাচ…সেই খেলায় শক্তিধর শ্রীলংকা দলের বিরুদ্ধে ৯৫ বলের মোকাবেলায় মনমাতানো অপরাজিত সর্বাচ্চ ৭৮ রানের ঝলক দেখিয়ে দীর্ঘকায় স্টাইলিশ ক্রিকেটার আতহার আলী খান মন কাড়েন সবার…সে সুবাদে টাইগার দলটার ওয়ানডে ক্রিকেটে ইতিহাসে প্রথম “ম্যান অব দ্য ম্যাচ” পুরস্কারটি লাভ করে রের্কড বুকে নিজের নামটি লিখিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন আতহার আলী খান…দেশের বাইরে একজন ফটো সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলার ছবি তোলার জন্য বলা যায় সৌভাগ্যক্রমে ‘প্রথম’ আমারই যাওয়া হয়েছিলো ভারতের এশিয়া কাপ আসরে…ক্যামেরা হাতে সেদিন মাঠে ছিলাম বলে আতহার আলী খানের সেই স্মরনীয় মুহূর্তটা ক্যামেরা বন্দি করে রাখার সুযোগটা আমার হয়েছিলো…সেদিন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসু ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি তুলে দিয়েছিলেন চৌকস ক্রিকেটার আতহার আলী খানের হাতে…

kiron-1990-asia-cup3                                       …এশিয়া কাপের সে লড়াইয়ে বাংলাদেশ(১৭৮/৯) দলের বিরুদ্ধে শ্রীলন্কা(২৪৯/৪) দল জয় পেয়েছিলো ৭১ রানে…৪৫ ওভারের সেই খেলায় অরবিন্দ ডি সিলভার সর্বোচ্চ ৮৯,দলনায়ক রানাতুঙ্গা অপ: ৬৪,হাসান তিলেকারত্নে ৩৯ ও গুরুসিংহে ৩৮ রানের কল্যানে শ্রীলংকা দল ৪ উইকেট খুইয়ে ২৪৯ রান তুলে নিতে সক্ষ হয়েছিলো…বাংলাদেশ দলের পক্ষে ১টি করে উইকেট তুলে নিয়েছিলো গোলাম নওশের প্রিন্স,মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও আজহার হোসেন শান্টু…লংকান  দলের সর্বোচ্চ স্কোরার ডি সিলভা রান আউট হয়ে বিদায় নিয়েছিলেন…জবাবে ব্যাট করতে নেমে আতহার আলী খান (অপরাজিত ৭৮ রান) ও কাপ্তান নান্নুর (৩৩ রান) মাঠ মাতানো দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ের পাশে শান্টু(১০),ফারুক(১২),নাসু(১১) কিছুটা দৃড়তা দেখালে বাংলাদেশ দল ৯উইকেটে ১৭৮ রান তুলে ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছিলো…এদিন ব্যাট হাতে মোটেও সুবিধা করতে পারেননি নভেল(০),বুলবুল(১),আকরাম খান(৪),মনি(৫),প্রিন্স(৪)…ব্যাট করার সুযোগ পাননি শুধু বোলার সাইফুল…লংকান বোলাদের মাঝে শনাত জয়সুড়িয়া সর্বাধিক ২টি এবং বিক্রমাসিংহে,রমানায়েক(এক সময়ের বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ),অনুরাসিড়ি,অরবিন্দ ডি সিলভা ও গুরুসিংহে ১টি করে উইকেট লাভ করেছিলেন…মনে পড়ে সেদিন খেলা শেষে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে যখন মাইকে ম্যাচ সেরা হিসেবে বাংলাদেশ দলের আতহার আলী খানের নামটি ঘোষনা করা হয় তখন খানিকটা ক্ষুব্ধ হয়ে হতাশা প্রকাশ করে সাথে সাথেই মাঠ থেকে ড্রেসিং রুমের দিকে হাটতে থাকেন ডিসলভা…জয়ী দলের হয়ে সর্বাধিক অপ: ৮৯ রান তোলার পাশাপাশি ১ উইকেট দখল ও ১ক্যাচ লুফে নিয়ে ডি সিলভা যেন ধরেই নিয়েছিলেন ম্যাচ সেরার ট্রফিটা তার হাতেই উঠবে…আর ভাবনাটা ওলট পালট হয়ে যাওয়ায় হতাশার বহি:প্রকাশটা দেখান ডিসিলভা…

kiron-1990-asia-cup7

No comments.

Leave a Reply