আমেরিকা প্রবাসী জাতীয় দল ও মোহামেডানের এক সময়ের তারকা ফুটবলার কোহিনুরকে সম্মানিত করল মহাপাগল ব্যতিক্রমধর্মী মোহামেডান সমর্থকবৃন্দ
…স্মৃতির এক জমজমাট আড্ডার আয়োজনে আমেরিকা প্রবাসী জাতীয় ফুটবল দল ও মোহামেডানের এক সময়ের খ্যাতিমান তারকা ফুটবলার কোহিনুর রহমানকে সম্মানিত করল মহাপাগল ব্যতিক্রমধর্মী মোহামেডান সমর্থকবৃন্দ…অনুষ্ঠানটিকে আলোকিত করতে উপস্থিত হয়েছিলেন একসময় তারই সাথে খেলা জাতীয় দলের ও মোহমেডানের সাবেক তারকা ফুটবলার বড় ইউসুফ, স্বপনদাশ ও জাতীয় ফুটবলে রংপুর জেলা দলে এক সঙ্গে খেলা জাতীয় দল ও আবাহনীর তারকা ফুটবলার কাজী আনোয়ার…ফুটবলের সোনালী সময়ের মধুময় মজার স্মৃতিচারনে চার তারকা ফুটবলারই অনুষ্ঠানটিকে প্রানবন্ত করে তোলেন…
…অনুষ্ঠানে মহাপাগল ব্যতিক্রমধর্মী সমর্থকবৃন্দের পক্ষ হতে তারকা ফুটবলার কোহিনুরের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন মহাপাগলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক শাহিন সামি…এছাড়া মহাপাগলের ব্যানারে সদ্য প্রকাশিত ‘রূপকথার মোহমেডান-আবাহনী’ বইটি কোহিনুরের হাতে তুলে দেন মহাপাগল সদস্য শফিকুল ইসলাম ও শাহাজাহান সাজু…অনুষ্ঠানে ছবি সংগ্রাহক নাজমুল আমিন কিরনের সংগ্রহের তারকা ফটবলার কোহিনুরের শতাধিক ছবি স্মবলিত দুর্লভ এক ফটো এ্যালবাম কোহিনুরের হাতে তুলে দেন সাবেক খ্যাতিমান ফুটবলার কাজী আনোয়র…
…স্মৃতির আড্ডার এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে যেয়ে মহাপাগল মোহামেডান সমর্থকবৃন্দের ফুটবল তথা মোহামেডান প্রেম এবং প্রিয় দলের দীর্ঘ দিনের চরম ব্যার্থতার মাঝেও প্রতিনিয়ত ঢাকা ও নানা প্রান্তে ছুটে গিয়ে মাঠে বসে খেলা দেখার সাথে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়ে যেভাবে দলকে ও দলের সাবেক-বর্তমান তারকাদের সম্মানিত করছেন তার ভুয়সী প্রশংসা করেন এক কালের মাঠ মাতানো তারকা ফুটবলার কোহিনুর…বলেন মহাপাগলদের জন্যই আজও আমরা স্মৃতিতে বেঁচে আছি এবং সম্মানিত হচ্ছি…এটা সাবেক ফুটবলারদের কাছে কত বড় পাওয়া তা বোঝানো যাবেনা…আমি রীতিমত মুগ্ধ এবং অবাকও হই মহাপাগল সমর্থকবৃন্দের মোহামেডান নিয়ে পাগলামো দেখে…ধন্যবাদ সকল মহাপাগল সমর্থকবৃন্দকে…
…স্মৃতির আড্ডায় এক পর্যায়ে মহাপাগল সমর্থকবৃন্দের অতীত তারকাদের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালবাসার ও সম্মানিত করার বহিঃপ্রকাশ দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন কোহিনুর…এসময় আমেরিকা হতে বয়ে আনা সখের হাত ঘড়িটি খুলে উপহার হিসেবে তুলে দেন মহাপাগল প্রতিষ্ঠাতা টি ইসলাম তারিকের হাতে…বলে যান আমি যেদিন থাকবনা এই ঘড়ির কারনেই মহাপাগল সমর্থকবৃন্দের মাঝে জেগে থাকা হবে আমার…ঘড়িটি হাতে পেয়ে তারিক বলেন মহাপাগল সমর্থকবৃন্দের প্রতি কোহিনুর ভাইয়ের এভালবাসা ভোলার নয়…আমরা অবিভূত…যদি কোন একদিন মোহামেডান ক্লাব কর্তারা ক্লাব টেন্টে সাফল্যের স্মৃতি স্মারক যাদুঘর গড়ে তোলেন সেদিন বেঁচে থাকলে কোহিনুর ভাইয়ের কাছ থেকে উপহার পাওয়া এই ঘড়ি তুলে দেয়া হবে সেখানে…
Recent Comments