তারকা ফুটবলারের ঘরে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটোর

Father-Son 2                         …জাতীয় ক্রিকেট দলের খ্যাতিমান তারকা ক্রিকেটার পাইলট,নাজমুল,নাফিস ইকবাল -তামিম ইকবাল ও সোহানরা আজ ক্রিকেট খেলে সুনাম-খ্যাতি কুড়িয়েছেন বেশ…সেই সাথে হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় ক্রিকেটার…অথচ তাদের খেলারই কথা ছিলো ফুটবল…কেন ফুটবলার হবার কথাটা বলা তার বড় কারনও রয়েছে…মজার ব্যাপার এই ৫ তারকা ক্রিকেটারের বাবারা কিন্ত ছিলেন এক সময়ের ঢাকা স্টেডিয়াম মাতানো তারকা ফুটবলার…ঢাকা লীগ ফুটবলে যাদের ছিলো দীপ্ত পদচারনা…খেলে গেছেন এরা লম্বা সময় সুনামের সাথেই…বলছিলাম ফুটবলার শামসু-ইকবাল খাঁন-মোক্তার ও সোহানের কথা…

Father-Son 1                                        …বর্তমান সময়ের বড় তারকা ক্রিকেটার জাতীয় দলের খ্যাতিমান ওপেনার তামিম ইকবাল ও জাতীয় দলের সাবেক তারকা ওপেনার নাফিজ ইকবালের বাবা হলেন এক সময়ের চট্রগ্রাম জেলা দল ও ঢাকা লীগের ইষ্টএন্ড,ওয়াপদার তুখোর স্ট্রাইকার ইকবাল খাঁন…জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সূচনাকারী পেসার নাজমুল হোসেনের বাবা হলেন এক সময়ের জাতীয় ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন সেনাবাহিনী দলের দলনায়ক ও ঢাকা লীগের ওয়ান্ডারার্স ও বিআরটিসি ক্লাবের কৃতি স্টপার ব্যাক মোক্তার হোসেন…জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দলনায়ক তারকা ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলটের বাবা হলেন এক সময়ের রাজশাহী জেলা দল ও ঢাকা লীগ ফুটবলে ঐতিহ্যবাহী বড় দুদল মোহামেডান ও আবাহনীর হয়ে খেলা খ্যাতিমান কুশলী স্ট্রাইকার শামসু…ওদিকে জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলা প্রতিভাবান উইকেট কিপার নুরুল হাসান সোহানের বাবা হলেন এক সময়ের ঢাকা লীগের দল মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কৃতি গোলরক্ষক সোহান…উল্লেখিত তারকা ৫ ক্রিকেটারের বাবাদের মাঝে আজ আর আমাদের মাঝে নেই তামিম-নাফিজের বাবা ইকবাল খাঁন ও পাইলটের বাবা শামসু…একই সময়ে ঢাকা মাঠে লীগ ফুটবল খেলার কারনে তামিম-নাফিজের বাবা ইকবাল খাঁন ও নাজমুলের বাবা মোক্তারের সাথে ছিলো ভাল সখ্যতা…আর তাই ইকবাল খাঁনের অনুরোধেই স্টপার ব্যাক মোক্তার চট্রগ্রাম লীগে ইকবাল খানের সাথে সাদা-কালো জার্সী গায়ে জড়িয়ে চট্রলা মোহামেডানের হয়ে কবছর লীগও খেলেছিলেন…

Father-Son 5                                     …ঢাকা মাঠের সাবেক ফুটবলার শামসু-ইকবাল খাঁন-মোক্তার ও সোহান এ চারজনই আমাদের ফুটবলের স্বর্নালী সময়ে ঢাকা লীগ ফুটবলের লড়াইয়ে সুনামের সাথে খেলে মন কেড়েছিলেন ফুটবল প্রেমিকদের…তাইত চারজনই নানা সময়ে জাতীয় দলের প্রাথমিক ট্রায়ালেও ডাক পেয়েছিলেন…তবে এচারজনের মাঝে একমাত্র স্টপার ব্যাক মোক্তারই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে দুবার সুযোগ লাভ করেছিলেন…মোক্তার ’৭৬ সালে থাইল্যান্ডের কিংস কাপে খেলা বাংলাদেশ দলে প্রথমবারের মত সুযোগ লাভ করেছিলেন…এরপর ’৮১ সালের ঢাকার প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপেও বাংলাদেশ লাল দলে সুযোগ পেয়েছিলেন…সেনাবাহিনী ফুটবল দলের হয়ে খেলে মোক্তার ’৮১-’৮২ এই দুবছর জাতীয় ফুটবল আসরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুগ্ম চ্যাম্পিয়নের স্বাদ নিয়েছিলেন…ষাট-সত্তর দশকের খ্যাতিমান স্ট্রাইকার শামসু তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ফুটবল দলেও খেলেছিলেন…এছাড়াও ঢাকা মোহামেডানের হয়ে ‘৬৯ সালে ভারতের মাটিতেও খেলেছেন…শামসু জাতীয় ফুটবলে রাজশাহী জেলা দল ছাড়াও খেলেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে…ইকবাল খাঁন নিজ জেলা চট্রগ্রামের হয়ে খেলে ’৭৭ সালে জাতীয় ফুটবলে রানার্সআপের স্বাদ নিয়েছেন…’৭৫সালের ঢাকা লীগ ফুটবলের প্রথম পর্বে ইকবাল খাঁন ১২ গোল করে সর্বাধিক গোলদাতা ছিলেন…তবে ২য় রাউন্ডে আঘাতজনিত কারনে বেশ কিছু ম্যাচে মাঠের বাইরে থেকে বেশ পিছিয়ে পড়েন…শেষমেষ ১৬ গোল করে লীগ আসরে ১৬ গোল করে তৃতীয় সর্বাধিক গোলদাতা ছিলেন…সেবছরই প্রথমবারের মত বাংলাদেশ দলের ট্রায়ালেও ছিলেন ইকবাল খাঁন…ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটেও দক্ষতা ছিলো ইকবাল খাঁনের…ব্যাটে-বলে দাপট ছিলো তার…চট্রগ্রাম ক্রিকেট লীগে প্রথম শতরানটিও এসেছিলো ইকবাল খাঁনের ব্যাট থেকে…

Father-Son 3

No comments.

Leave a Reply