চার শহীদ ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব মরহুম জুয়েল-মুস্তাক-চান্দু-সামশুল আবেদীনের নামকরনে BCSA-র স্বাধীনতা দিবস ক্রিকেট আসর ছিলো প্রশংসনীয় এক প্রয়াস

Picture1                                   …গেলোকাল ১৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে বনানী ক্লাব মাঠে BCSA বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজন করল চার খ্যাতিমান শহীদ ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব মরহুম জুয়েল-মুস্তাক-চান্দু ও সামশুল আবেদীনের নামকরনে চার দলের স্বাধীনতা কাপ ক্রিকেট…যা ছিলো সত্যি প্রশংসনীয় ও মহতী এক উদ্যোগ…এবার চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটি জয় করে শহিদ চান্দু একাদশ দল…ফাইনাল ও আসর সেরা ক্রিকেটারের ট্রফিটি জয় করে নেন চ্যাম্পিয়ন শহীদ চান্দু একাদশ দলের এমদাদ…

Picture3

Picture2                                 …BCSA এর এবারের আয়োজনের আলাদা ভাবে তুলে ধরার মত দিক ছিলো চার দলের ক্রিকেটারদের জার্সীতে ছিলো শহিদ ক্রিকেট ব্যক্তিত্বদের নাম এবং সবার জার্সী নম্বরই ছিলো ’৭১’…তাছাড়া চার দলের ক্রিকেটারদেরই জার্সী নম্বরের ওপরে শোভা পাচ্ছিলো তাদের মায়েদের নাম…শ্রদ্ধা প্রদর্শনের এমন মন কাড়া আয়োজনের প্রশংসা না করলেই নয়…থ্যান্কস জানাতেই হয় BCSA এর আয়োজনের সাথে জড়িত সবাইকে…এবারের আসরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আয়োজনকে স্বার্থক করে তোলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক কাপ্তান ও এমুহূর্তের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু…চার দলের ক্রিকেটারদের সাথে পরিচিত হন তারকা ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু…

Picture7                                  …প্রধান অতিথি জাতীয় দলের সাবেক দলনায়ক ও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ সেরার পুরস্কার প্রাপ্ত এক সময়ের দেশ সেরা ব্যাটসম্যান নান্নুকে তারই বাবার নামকরনে গড়া শহীদ সামশুল আবেদীন দলের জার্সী ও ক্যাপ BCSA এর পক্ষ থেকে উপহার দেন সংগঠনের সভাপতি জুনায়েদ পাইকার…বিদায় কালে নান্নু তার বাবা মরহুম শহীদ ক্রিকেটার সামশুল আবেদীন দলের জার্সীতে অটোগ্রাফও দিয়ে যান…

Picture4                                 …চার শহিদের নামকরনে দলের মাঝে নিজের বাবা এক সময়ের চট্টগ্রামের ক্রিকেটের গর্বের নাম খ্যাতিমান ক্রিকেটার সামশুল আবেদীন নামের দলটা দেখে শুধু মুগ্ধই হননি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন নান্নু…সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নান্নু BCSA এর এই আয়োজনের প্রশংসা করেন…বাবা শহীদ ক্রিকেটার সামশুল আবেদীনকে নিয়ে স্মৃতিচারনও করেন নান্নু…বলেন আমি ও বড় ভাই নুরুল আবেদীন নভেল(জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার) ’৭১-র স্বাধীনতা যদ্ধের সময়টায় ছিলাম খুব ছোট…বাবার খেলা তেমন করে দেখার সৌভাগ্যও হয়নি…মায়ের কাছে জমানো পেপার কাটিংএ দেখেছি জাতীয় পর্যায়ের আসরে শেষ ম্যাচটায় তার ব্যাট থেকে এসেছিলো শতক…যুদ্ধের সময়টায় পাক সেনারা এসে বাবাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো…তারপর আর তাকে ফিরে পাওয়া হয়নি…আজও খুজছি বাবাকে…আমরা দুভাই জাতীয় দলে খেলে সম্মান-খ্যাতি-যশ্ব জনপ্রিয়তা সবই পেয়েছি তবুও বুক ভরা যন্ত্রনা-কষ্ট বয়ে বেড়াতে হচ্ছে…বাবার খেলা দেখার সুযোগটা যেমন হারিয়েছি তেমনি দুই ভাইয়ের ক্রিকেট সফলতাও বাবাকে দেখানো হলোনা…তবে সুখের বড় দিকটা হলো বাবা সহ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া লাল সবুজের পতাকার বাংলাদেশ দলে খেলেছি…

Picture5

Picture6

No comments.

Leave a Reply