ঢাকার ফুটবলে ২ খেলায় ৪২ গোলের কলন্কময় মনগড়া রেকর্ড !!

42 goal 2 match-                                       …ঢাকার মাঠে ফুটবল লড়াইয়ে কতনা চমক জাগানো ঘটনার সমারহ রয়েছে…মারামারি কাটাকাটি-ভাংচুর-লুটপাট-পুলিশের পিটুনি-সমর্থকদের তুমুল সংঘর্ষে হতাহত-নিহত এমনকি ফুটবলারদের জেলে যাবার ঘটনাও যেমন রয়েছে তেমনি মন গড়া পাতানো খেলার কলন্কময় নজীড়ও রয়েছে ভুরি ভুরি…যা ছিলো এবং আজও রয়েছে…এখানে মন দেয়া নেয়ার পাতানো খেলার এক কলন্কময় নজীড় গড়ার কথাই তুলে ধরছি…ভাবাই যায়না এক দলের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয়টা রুখতেই টানা দুম্যাচে ৪২ গোল করে বসে একটি দল…আর তাতেই দলটা গোল ব্যবধানে এগিয়ে শ্রেষ্টত্ব দেখায় ফুটবলকে কলন্ক করার মাঝেই…ঘটনাটা ১৯৮৪ সালের ঢাকা ২য় বিভাগ লীগ ফুটবলের…অফিস দল বিজেএমসিকে পেছনে ফেলে ন্যাক্কারজনক পাতানো খেলার জন্ম দিয়ে টানা দুম্যাচে ৪২ গোলের নজীড়টি সৃষ্টি করে সে বছর ২য় বিভাগ লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো আরেক অফিস দল পিডবলিউডি ক্লাব…মজার ব্যাপার লীগ কমিটির বড় কর্তাদের মাঠে উপস্থিতির মাঝেই কলন্কময় পাতানো খেলার নাটক হলেও কোন প্রকার কঠোর সাজা প্রদানের পথেই হাঠেননি কর্তারা !!…

...১৯৮৪ সালের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়দের সাথে পরিচিত হচ্ছেন প্রধান অতিথি জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান লে:কর্নেল অব: এম.এ.হামিদ...

…১৯৮৪ সালের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়দের সাথে পরিচিত হচ্ছেন প্রধান অতিথি জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান লে:কর্নেল অব: এম.এ.হামিদ…

                                         .. ‘৮৪-র দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগে বিজেএমসি ও পিডবলিউডি ২ খেলা বাকি থাকতেই সমান পয়েন্ট লাভ করেছিলো…ওসময়টায় গোল ব্যাবধানে বেশ এগিয়েছিলো বিজেএমসি…আর তাতেই বিজেএমসিকে ঠেকাতে সুযোগ বুঝে পাতানোর খেলার নাটক সাজায় পিডিবলিউডি ক্লাব…সে নাটকে টানা দুম্যাচেই সবাইকে অবাক করে ৪২ গোল করে রীতিমত বিস্ময়কর ঘটনার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বসে পিডবলিউডি দলটা…ওদিকে বিজেএমসির বিরুদ্ধে শেষ দু খেলায় লালবাগ ০-৩ গোলে এবং রেলওয়ে দল ০-১ গোলে পিছিয়ে থেকে কোন যুক্তিসঙ্গত কারন ছাড়াই রহস্যজনক ভাবে মাঠ থেকে উঠে যায়…ফলে লড়াই করে একাধিক গোল করার সুযোগ হারিয়ে শিরোপা জয়ের কাছাকাছি যেয়েও ৪২ গোলের সেই কলন্কময় ঘটনায় ছিটকে যায় বিজেএমসি দল…পিডবলিউডি শেষ দুম্যাচে ধানমন্ডি মাঠে ১৮-১ গোলে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্সকে এবং মিরপুর পল্লবী মাঠে ২৪-১ গোলে চলন্তিকাকে হারিয়ে ১৬ খেলায় বিজেএমসির সমান ৪০ পয়েন্ট লাভ করেছিলো…তবে পিডিবলিউডি গোল ব্যাবধানে এগিয়ে চ্যাম্পিয়নের স্বাদ নেয়…দু খেলায় ৪২ গোল করার মাঝে পিডবলিউডির গোল দাড়ায় ৬৯টি…ওদিকে বিজেএমসির গোল সংখ্যা ছিলো ৩৮টি…বোঝাই যায় সেবার পিডবলিউডির ২য় বিভাগ ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়নের পেছনে ৪২ গোল কতটা বড় ভুমিকা রাখে…

No comments.

Leave a Reply