ফুটবলে এশিয়াডের ২য় পর্বে উঠার খুশির দিনেও অতীতের সুখগাথা জয়ের স্মৃতি গুলো আজও তাড়িয়ে বেড়ায়

BD-8-0-…ফুটবলের অসময়ে যেন আশার আলো ছড়ালো ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে অংশ গ্রহনকারী জাতীয় ফুটবল দল(অনুর্ধ-২৩)…প্রথম ম্যাচে ভাল খেলেও শক্তিশালী উজবেকিস্তানের কাছে ০-৩ গোল হারলেও পরের ম্যাচে ভাল ভাবেই ঘুরে দাড়ায় দলটি…এক গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে সমতায় খেলা শেষ করে…এরপর গ্রুপের শেষ খেলায় ১৯ আগষ্ট লড়াকু মেজাজে দুর্দান্ত খেলে আরেক শক্তিধর কাতারকে ১-০ গোলে হারিয়ে রীতিমত তাক লাগিয়ে ছেড়েছে…সেই সাথে অতুলনীয় এক জয়ের স্বাদ নিয়ে বহু বছর পর প্রথম বারের মত এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় পর্বে উঠে মন কেড়েছে সবার…খেলার শেষক্ষনে দলনায়ক জামাল ভুইয়ার মনমাতানো নিখুত প্লেসিং শট কাতারের জ্বালে জড়ানোর মাঝে মনকাড়া জয়টি আসলে উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা দল ও অগনিত ফুটবল প্রেমীরা…এমন একটা স্মরনীয় জয়ের দেখা পাওয়া যেন বহু দিনের চাওয়া ছিলো অনেকেরই…অবশেষে দেখা মিলেছে…এ যেন দীর্ঘ ব্যার্থতার হাতাশায় ডুবে থাকা আমাদের ফুটবলের নুতন আশার সঞ্চার করেছে…এনে দিয়েছে গর্ব করার উপলক্ষ এবং হাসি মুখ…হতে পারে মনোবল চাঙ্গা করে এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রে এ জয়টাই প্রথম ধাপ মাত্র…তাই হোক…

old-memory-5…এশিয়াডে আজকের জয়টা ফুটবলের স্বর্নালী দিনের জাতীয় দল বা ক্লাব দল সমুহের স্মৃতির পাতার অনেক সুখকর জয়ের স্মৃতি বারবার চোখে ভাসছিলো…যে সুখ স্মৃতি গুলো আমার কেন অনেককেই আজও তাড়িয়ে বেড়ায়…ভোলার মত নয় ’৮৫-র সাফ ফুটবলে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ৮-০ গোলে জয়, ’৯১ সালের প্রি অলিম্পিক ফুটবলে ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে ৮-০ গোলের ব্যাবধানে বড় জয়ের সুখময় স্মৃতি গুলো…ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে সেদিন নকিব একাই করেছিলেন রেকর্ড গড়া সর্বাধিক ৫ গোল… ‘৭৮ সালে ঢাকার এশিয়ন যুব আসরে হাসানের এক মাত্র গোলে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে জয়,’৭৯র ঢাকার এশিয় কাপে ৩-২ গোলে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়, ‘৮২র এশিয়াডে ২-১ গোলে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম জয় ‘৮৪-র সাফে নেপাল ও মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ৫-০ ব্যাবধানে জয়,’৮৭-র সাফে ৩-০ গোলে ভুটানের বিরুদ্ধে জয়,’৮৯-র সাফে ৩-১ গোলে লংকার বিরুদ্ধে জয়,’৯৯-র সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে ৪-০ গোলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে,’৮৯তে বিশ্বকাপ বাছািইয়ে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জয়,ক্লাব ফুটবলে ’৮২তে আগাখান গোল্ড কাপে ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে আবানীর ৫-০ গোলে জয় এবং ব্রাদার্সের ৩-০ গোলে জয়,’৮৭তে এশিয়ান ক্লাব কাপে নেপালের মানাং ক্লাবের বিরুদ্ধে মোহামেডানের ৬-২ গোলে জয়,’৮৮তে এশিয়ান ক্লাব কাপে শক্তিধর ইরানে পিরুজী ক্লাবের বিরুদ্ধে মোহামেডানের ২-১ গোলে জয় গুলো সহ আরো বেশ কিছু জয়ের সুখ স্মৃতি আজও চোখে ভাসে…’২০১৮ সালের এশিয়ান গেমস আসরে আজ কাতারের বিরুদ্ধে স্মরনীয় জয়টাই ফিরিয়েছে সোনালী দিনের সুখ স্মৃতি গুলো…হয়ত এজয়ের মাঝেই আবারো এগিয়ে যাবার পথ খুলে দেবে…ফিরবে হয়ত ফুটবলের সুদিন আজ না হোক কাল…তা দেখার অপেক্ষাতেই রইলাম…

Picture1

No comments.

Leave a Reply