..অতুলোনীয় মাশরাফি দলের চেহারাই পাল্টে দিলেন..

…ফাইটার ক্রিকেটার মাশরাফির তুলোনাই হয়না…দলকে চাঙ্গা করতে আর সবাইকে এক সূতোয় গেথে কেমন উজ্জিবিত করতে পারেন তার বড় প্রমানই যেন এই মহুর্তটি…দেখুন মাশরাফির তিন নম্বর উইকেটের পর দলের এগারোজনই এক হয়ে গেলেন…এমন দৃশ্য বিরল…এর আগে কবার দেখা হয়েছে কে যানে…

…ফাইটার ক্রিকেটার মাশরাফির তুলোনাই হয়না…দলকে চাঙ্গা করতে আর সবাইকে এক সূতোয় গেথে কেমন উজ্জিবিত করতে পারেন তাতো প্রমানই রাখলেন…যে দল পুরো বছর একটা ওয়ানডে ম্যাচও জয়ের দেখা পায়নি সে দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব নিয়ে কিনা টানা দু সহজ জয়…অতুলোনীয় মাশরাফি দলের চেহারাই যেন পাল্টে দিলেন..তুলে ধরার মত দিক হলো সবাই যেন জ্বলে উঠার জন্য ব্যাকুল…উপরের ছবিটির দিকে তাকিয়ে দেখুন ভাল করে…চোঁখে পড়ার মত বা তুলে ধরার মত দিক হলো ২য় ওয়ানডে ম্যাচে মাশরাফির তিন নম্বর উইকেটের পর দলের এগারোজনই এক হয়ে গেলেন…এমন দৃশ্য বিরল…এর আগে কবার দেখা হয়েছে কে যানে…এইনা হলো সাবর কাছে গ্রহন যোগ্য প্রিয় ক্রিকেটার মাশরাফি…

…আজতো সফল দলনায়ক মাশরাফি দেখিয়ে দিলেন শিশির টিশির কোন ব্যাপার না…আত্মবিশ্বাস,জিদ আর ভাল করার স্পিাহ থাকলে অনেক কিছুই করা যায়…তাইত টস জিতে আজ কনফিডেন্সের সাথেই আগে ব্যাট করেছেন…৭ উইকেটে ২৫১ রান তোলার পরও দলকে এনে দিয়েছেন ৬৮ রানের জয়ের স্বাধ…জাতীয় দলের প্রাক্তন দলনায়ক পাইলটের মতে প্রথমেই দুর্দান্ত বল করে অল্প রানের(৪০) মাঝে ৩ মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে মাশরাফিতো মাজাই ভেঙ্গে দেয় জিম্বাবুয়ে দলের…বলব সুযোগ্য দলনায়ক মাশরাফির প্রথমেই তিন তিনটি আঘাত যেন জিম্বাবে দলকে চরম ভাবে কোনঠাসা করে অনেকটাই দূরে ঠেলে দেয়…যার দরুন কোমড় সোজা করে আর দাড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে দলটি…তাইত তামিম ৭৬ ও এনামুল ৮০ রান করলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার মাশরাফি ছাড়া অন্য কাউকে দেবার কথা ভাবেননি বিচারকরা…আশা করা যায় এমন করেই মাশরাফি দলটাকে জাগিয়ে রাখবেন তার সুন্দর নেতৃত্ব দানের মাঝে…

জয়ের নায়ক ম্যাচ সেরা দলনায়ক মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানালেন বোর্ড প্রধান পাপন..পরে ছবি তোলার পোজও দিলেন মাশরাফিকে নিয়ে

…মাশরাফি কতবার যে ইনজড়িতে পড়ে দলের ও খেলার বাইরে ছিটকে গেছেন তা তো হিসেব কষে বলতে হবে…তবে ভেঙ্গে যাননি একটি বারও…বার বার সেই জিদ-আত্মবিশ্বাস আর অসোম্ভব মনোবলের কারনে ফিরে এসেছেন দারুন ভাবে…সফল ও হয়েছেন বল হাতে…বলতেই হয় ওটাই যেন মাশরাফির ভাল করার-দলকে চাঙ্গা  করে জাগিয়ে তোলার ব্যাপারে বড় টনিক হিসেবে কাজ করে…মাশরাফির ফাইটিং মনোভাব আর ইনজুড়িতে পরে বার বার বীরের মতই ফিরে আসাটা তরুন ক্রিকেটারদের কাছে যেমন বড় প্রেরনাদায়ক তেমনি আদর্শের প্রতিক…যার নেই কোন তুলোনা…

 …সেই ২০০৩ সাল থেকে শুরু ইনজুড়িতে পরে দল থেকে ছিটকে যাওয়া…এবং এনেক সময় নিয়ে দলের বাইরে থাকা…ইয়েস একাধিক বার…অধিনায়কত্ব ও হারিয়েছেন এই ইনজুড়ির কারনেই…তবে আজও তার স্থানটা কেড়ে নেয়ার মত একজনও উঠে আসেনি…তাইত আজও অনন্য অসাধারান মাশরাফি…আর দলের ত্রান কর্তা হয়ে ধরা দিয়ে চলেছেন…বলা চলে মাশরাফির প্রতি পুরো আস্থা রেখেই বোর্ড কর্তারা তাকে আবারও ওয়ানডে দলের অধিনায়কের গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন…অতঃপর যা হবার তাই হলো প্রত্যাশিত ভাবেই…পুরো মরসুম জুড়ে যেখানে জয়ের দেখা নেই হতাশা ছাড়া সেই দলটার মাঝে প্রান ফিরে এলো…ক্রিকেটারদের মাঝে একটা ফাইটিং স্পিরিট ফুটে উঠলো দারুন ভাবে…বলতে হয় দলের চেহারাই যেন পাল্টে গেলো…এর ফলে মাশরাফির যোগ্য নেতৃত্বে নেয়া হলো টানা দুটো সহজ জয়ের স্বাধ…বহুদিন পর হাঁসি ফুটলো যেন সবার মুখে…জয়ের আনন্দ আর ওমন হাঁসিমুখ থাকুক আগামী দিন গুলোতেও এপ্রত্যাশাই থাকলো…

No comments.

Leave a Reply