মনে পড়ে ষ্টেডিয়ামে বসে রাসেলের খেলা দেখার মুহুর্ত

বড় ভাই যেন ছোট দুই ভাইয়ের কাপ জয়ের লড়াইয়ের উত্তেজনা দেখে আগেই সরে যায়..শেষ মেষ আরেক বড় ভাই ও সে পথেই হাটে..এবং ছোট ভাই ফাইনালে শেষ হাসিটা প্রান ভরেই হাসলো আর খুশির জোয়াড়ে ভাসলো..দল গড়ার অনেক বছর পর প্রথম চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয়ের স্বাদ কিনা তাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠলো সবাই..কদিন আগেই ছিলো ছোট ভাইয়ের জন্মদিন..আর চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটি তার নামেই উৎসর্গ করা যেন হলো..বলছিলাম শেখ রাসেলের এবারের ফেডারেশন কাপ ট্রফি জয়ের কথা…

আজ সকালে অফিসে যেয়ে ফেইস বুক ওপেন করতে না করতেই শেখ রাসেলের দলনায়ক বিপ্লবের ম্যাসেজ ভাইয়া দোয়া করবেন যেন ফাইনালে জিততে পারি..বলেছিলাম দোয়া থাকবে কারন মনে প্রানে আমিও যে চাইছি নুতন একটি দল চ্যাম্পিয়নের তালিকায় নাম লিখিয়ে নিক..যা কিনা ফুটবলেরই শুভ দিক..হলোও তাই..পুজোর আনন্দের মাঝে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয় বিপ্লবের যেন খুশির সীমা নেই..

২০১২ সালের ২২শে অক্টোবর দিনটি সন্দেহ নেই শেখ রাসেল দলটির কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে..এদিনটিতেই তারা জয় করে নেয় প্রথম চ্যাম্পিয়ন ট্রফি..শেখ রাসেল কেসি ২-১ গোলের ব্যবধানে শেখ জামালকে হারিয়ে শ্রেষ্টত্ব দেখায়..প্রথম ৯০ মিনিটে কোন দলই গোলের মুখ দেখেনি..অতিরিক্ত সময়ের গোড়াতেই মাইক গোল করে শেখ জামালকে এগিয়ে রাখলেও শেষ দিকে এসে দেশ সেরা ষ্ট্রাইকার এমিলির দর্শনীয় হেডের গোল সমতা নিয়ে আসে..অতঃপর খেলার শেষ বাশি বাজার কিছু আগে দুর প্রান্তের কড়া শর্টে জয় সুচক গোলটি করে শেখ রাসেলকে চ্যাম্পিয়নের স্বাদ এনে দেন সনি..

শেখ রাসেলের এই চ্যাম্পিয়নের স্মরনীয় দিনে স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠছে শিশু রাসেলের কিছু মুহুর্ত..বাবা জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমানের খুব আদরের ছিলেন বলে বাবার ছায়াতলেই যেন থাকতেন রাসেল..ঘুরে বেড়াতেন বাবার সাথে নানা যায়গায়..ফুটবলের প্রতি রাসেলের আকর্ষন ছিলো অনেক..তাইত বাবার সাথে ষ্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখতে মিস করা হতনা..এখানে ১৯৭৩ সালে রাশিয়ান মিনস্ক ডায়নামো ও বাংলাদেশ একাদশের মধ্যকার খেলায় জাতিরজনক শেখ মুজিবর রহমানের সাথে শিশু রাসেলের ষ্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সেই মুহুর্তের ছবিটি তুলে ধরা হলো..শেখ মুজিবর রহমানের পাশে অনান্যদের মাঝে মাঠে বসে খেলা দেখতে দেখা যাচ্ছে মন্ত্রী পরিষদের তাজউদ্দিন আহমেদ-মোস্তাক-আবদুল মান্নান-মনোরন্জন ধর-তাহেরউদ্দিন ঠাকুরকে..

…উপরে কোটি টাকার আনন্দ..নীচে ডানে পরাজয়ের মুহুর্তটি অসহায়ের মত মাটিতে বসে শেখ জামালের গোল কিপার দেখছেন বল জ্বালে জড়ানো…

No comments.

Leave a Reply