লীগে নিলর্জ পাতানো খেলা..৩৭.৫ ওভারে ৫২২ রান!!
পাতানো খেলা যেন আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে এক নোংড়া ব্যাধি..সমঝোতায় পয়েন্ট দেয়া নেয়ার খেলা ছিলো..আছে এবং চলবেই যতদিন না আমাদের মন মানোসিকতা বদলাবে..বিচার যাদের কাছে চাওয়ার তারাই যে এসবের মুল হোতা..আর তাই প্রতিরোধের কাজের কাজ কিছুই নেই..ম্যাচ পাতানোরতো একটা ধরন আছে..আর তা যদি একেবারে নিলর্জের মত খোলামেলা হয় তাহলেতো চরম হাস্যোকর ব্যাপার হয়ে দাড়ায়..তেমনি এক নিলর্জ পাতানো খেলার কথাই এখানে তুলে ধরছি..ক্রিকেটের কথা..ঢাকা লীগের ম্যাচ..প্রথম দফার লীগের শেষ খেলায় মুখোমুখি হয়েছিলো ধানমন্ডি ও উদিতি ক্লাব..রেলওয়েকে টপকে ধানমন্ডির সুপার লীগ খেলার নেশাই মন দেয়া নেয়ার খেলায় মেতে উঠেছিলো দুদল নিলর্জ ভাবেই..এমনি এক নিলর্জ পাতানো ম্যাচ যা কিনা ওয়ার্ল্ড রের্কড গড়া..ভাবাই যায়না..সীমিত ওভারের খেলায় ম্যাচে ৭৭৯ রানের বিশাল সংগ্রহ!!!!!!! তাও আবার মাত্র ৩৭.৫ ওভারেই ধানমন্ডি তোলে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৫২২ রান..ওভার প্রতি রান গড় হলো ১৩.৯২!!! প্রথম শ্রেনী বা অন্য যে কোন পর্যায়ের ম্যাচে একদিনের সর্বোচ রানের রের্কড ছিলো ৭২১ রান..যে রান উঠেছিলো ১৯৪৮ সালে অষ্ট্রেলিয়াঃএথেক্সের মধ্যকার খেলায়..যে রের্কড নুতন করে গড়ে তোলে ধানমন্ডি ও উদিতি ক্লাব…এই মনগড়া খেলার তীব্র ভাবেই সমালোচিত হয়েছিলো সে সময় পত্রিকার পাতায় ও ক্রিকেট মহলে..
রের্কড সৃষ্টির এই মনগড়া খেলায় যেন মনের সুখ মিটিয়ে এলো পাথাড়ী ব্যাট চালিয়ে রানের পাহাড় গড়ে দুদলের ব্যাটসম্যানরা..খেলায় প্রথমে ব্যাট করে ধানমন্ডি দল ৩৭.৫ ওভারেই ৫২২ রান করে অল আউট হয়..ওভারে গড়ে তারা তুলে নেয় ১৩.৯২ রান..মজার ব্যাপার হলো ধানমন্ডিকে রানের পাহাড় গড়ার মাঝে সুপার লীগে নিয়ে যেতে উদিতির বোলারদেরই মুখ্য ভুমিকা ছিলো..তারা শুধু বাজে বল করেই দর্শক হাসায়নি রের্কড পরিমান নো-ওয়াইড আর বাই রান দিয়েও রের্কড গড়েছে..ভাবতেই অবাক লাগে ম্যাচে সর্বোচ শতরান রান আসে অতিরিক্ত রান থেকে..যার পরিমান ছিলো ১০৮ রান!!! বাবলা ৯২,ইউসুফ ৬৫,অপু ৬৪,নাজিম ৫৭,হামিন আহমেদ ৫৫ এবং রফিক করেন ৪৭ রান..টুটুল ২৭ রানে ৩টি এবং মোহায়মেন ১৯ রানে ও ৪৫ রানে দুটো করে উইকেট দখল করেন..অতঃপর ইমরান ৬২,আতিক ৩২,কিবরিয়া ৪২,টুটুল ২০,বাবু ২৯ ও খসরু অপরাজিত ১৮ রান তুললে উদিতি ২৫৭ রানে ইনিংস শেষ করে ২৬৫ রানের ব্যাবধানে হার স্বীকার করে নেয় ..সেদিনের এই পাতানো খেলায় দুদলের খেরোয়াড়দের চেয়ে স্কোরার ছোট মন্জু ও দুই আম্পায়ার মনজুর মিল্কি ও মিন্টুকেই নাকি বেশী তৎপড় থাকতে দেখা যায়..এম্যাচে এত অধিক চার আর ছয় এবং নো-ওয়াইড-বাই রানের ছড়াছড়ি ছিলো যে নো বল ডাকতে ডাকতে আর চার-ছয়-ওয়াইড বলের হাতের ইশারা করতে যেয়ে রীতিমত ক্লান্ত হয়ে পড়েন দুই আম্পায়ার মিল্কি ও মিন্টু…
KA Dalim
Oct 08. 2012
Its beginning DREAM of T20 .