..গর্জন-বদলে দেয়া-বদলে যাওয়া সবই যেন মাশরাফির জন্যে..
…ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান প্রাক্তন দলনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী অতিথি হিসাবে বাংলাদেশ বেতারে এসে বল্লেন বাংলাদেশ দারুন খেলে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে…রিয়াদ-মুশফিকের ব্যাটিংএ মুগ্ধ সৌরভ আলাদা ভাবেই প্রশংসা করলেন পেস বোলিংত্রয় দলনায়ক মাশরাফি-রুবেল ও তাসকিনের…গাঙ্গুলী বাংলাদেশ দলকে শুভ কামনা জানিয়ে একটু যেন রস ঢেলে দিয়ে বল্লেন ভারতকে আলাদে রেখেই টাইগার দলটা এগিয়ে যাক অনেকদূর…যতই রস ঢালুক সৌরভ বুঝতে অসুবিধা হলোনা বা তার কথাতেই পরিস্কার ফুটে উঠেছে ২০০৭ এর বাঘের থাবায় প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যাওয়ার ক্ষতটা তাদের আজও শুকায়নি…ভাবলেই যা জ্বালা ধরায়…ভিষন ভাবিয়ে তুলে…একটু হলেও যে আতন্ক জাগায়…সেবার তিন তরুন তামিম-সাকিব ও মুশফিক কি পিটুনী না দিয়েছিলো ভারতকে…তিনজনই হাঁকিয়েছিলো মনমাতানো হাফ সেঞ্চুরী…এসময়ে ওতিনজন যে আরো বেশী পরিনত-পরিপক্ক ও নির্ভার…সেই সাথে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন…তাইত এবারের আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে টাইগারের মুখোমুখি না হলেই ভাল এমনটাই আকারে ইঙ্গিতে বোঝালেন দাদা সৌরভ গাঙ্গুলী…তা না হলে কেনই বা বলে যাবেন ভারতকে আলাদা রেখেই অনেকদূর এগিয়ে যাক বাংলাদেশ…ওদিকে ভরতীয় টিভিতে পাক-ভারতের প্রাক্তন দুতারকা অজয় জাদেজা ও শোয়েব মালিক বলেই দিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে পেলেই খুশি হওয়া যেত…ওদের যে ভাল করেই যানা আছে দাদাগিরি চলবে না মাশরাফির টাইগার বাহিনীর সাথে…
এবারের বিশ্বকাপের মাশরাফির দলটাই যে আগের যেকোন বারের চেয়ে শক্তিশালী এবং সবদিকেই যে সেরা তা না বল্লেই নয়…১০৫ রানের বড় ব্যাবধানে আফগানকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছিলো এবার মাশরাফির দলটা…ওডিআই ম্যাচে প্রথম বারের মত স্কটিশদের বিরুদ্ধে ৩০০+ রান টপকে অনায়াসেই জয়ের স¦াধ নিয়ে তাক লাগানো হয়েছিলো…অতঃপর বৃটিশদের নাকানি চুবানি খাইয়ে যে ভাবে প্রথম রাউন্ডেই প্লেনের টিকিট হাঁতে ধরিয়ে দেয়া হলো তাতো ছিলো আরেক ইতিহাস…কি অসাধারন নৈপূন্যই না দেখালো টাইগাররা…অতুলোনীয় এক জয়…দুদলের কাছেই ম্যাচটা স্মৃতির পাঁতায় জ্বল জ্বলে হয়ে থাকবে লং লং টাইম…টাইগারদের কোটি কোটি ভক্তের কাছে যা সুখকর হয়ে থাকবে আর ওদিকে বৃটিশ ভক্তদের কালো দাগ হয়ে বড় যন্ত্রনাদায়ক এক স্মৃতি হয়ে থাকবে…যা ভোলার মত নয় কোন ভাবেই…কি করে ভুলবে ওরা বাঘের থাবায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে মাতা নত করে যে প্রথম পর্বেই বিদায়…আহ কি লজ্জা মোড়লদের…ভাবলেই শান্তি…
বলতেই হয় বাংলাদেশ দলটার এমন করে জ্বলে উঠার বড় প্রেরনাই যে হলো সেনাপতি মাশরাফি…দলের জন্য অনেকটা যেন ভিটামিন ”সি” বা ”টনিক” হয়েই ধরা দেন…২০১৪ মরসুমে টানা হারের বেড়া জ্বালে যখন হতাশায় মগ্ন সবাই তখনি মাশরাফিকে দলনায়ক করার পর পরই বাংলাদেশ দলটার চেহারাই পাল্টে যায়…পুরো দলটাই উজ্জিবিত হয়ে জেগে উঠে দারুন ভাবে…শুরু হয় ইতিহাস রচনার…ভাবাই যায়না দেশের মাঠে জিম্বাবুয়েকে হারানো হলো ৮-০তে…৩ টেষ্টে ও ৫ ওডিআইতে জয় এলো সহজ ভাবে…এরপর ৩ জয় নিয়ে এরই মাঝে নুতন করে লেখা হলো বিশ্বকাপ ইতিহাস…মাশরাফি নিজেই যেন এক ইতিহাস…বহুবার আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়ে কতবারই না ছুড়ি চালিয়ে কাটা ছেড়া করেছেন পায়ে…হাসপাতালে বা ঘরের বিছানায় শুয়ে ছটফট করে কতনা চোখের জ্বল ফেলেছেন…অন্য যে কোন ক্রিকেটার হলে বহু আগেই খেলা ছেড়ে জার্সী-ব্যাট-কিডস গুলো যত্ন করে তুলে রাখতেন শোকেসে সেখানে টাইগার মাশরাফি ভেঙ্গে পড়েননি একটি বারও…হেরে যাবার পাত্র যে নন মাশরাফি…তিনি যে ফাইটার…ক্রিকেট মাঠের অতুলোনীয় সাহসী এক মুক্তিযোদ্ধা…তাইত অনেক ঘাম ঝড়িয়ে বারবারই ফিরে এসেছেন নতুন উদ্যোমে দুর্দান্ত ফর্মে…গত বিশ্বকাপেও শেষ মহুর্তে ইনজুরির কারনেই ছিটকে গিয়েছিলেন…টিভিতে চোখের জ্বল ফেলে হতাশা ব্যাক্ত করার মহুর্ত হৃদয় ছুয়ে নিয়েছিলো কোটি কোটি টাইগার ভক্তের…ফিরেছেন তার মত করেই…এবারত সেই বিশ্বকাপ দলের সফল দলনায়ক…
…মাশরাফি নিজে ভাল খেলেই সামনে থেকে দলটাকে নেতৃত্ব দেন দারুন বিচক্ষনতার সাথে…বহুবার কাটা ছেড়া করা পায়ের যন্ত্রনা ভুলে মাঠে নিজেকে শতভাগ উজার করে দেন মন প্রান ঢেলে দিয়েই…ওটাই যেন দলের অন্য সবার ভাল কিছু করে দেখানোর বাড়তি প্রেরনা…মাশরাফির প্রতি খেলোয়াড়দের ভালবাসার যেন শেষ নেই…বলব মাশরাফিই সেনাপতি হয়ে ফিরে এসে পুরো দলটাকে এক সূতোয় বেধে দারুন ভাবে বদলে দিয়েছেন…আর বদলে যাওয়া টাইগার দলটা এবারের বিশ্বকাপে মোড়লের দল বৃটিশদের কুপোকাত করেই ১৬ কোটি মাানুষকে আনন্দে ভাসিয়ে উঠে গেছে প্রথম বারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে…প্রানের ভালবাসার ক্রিকেটই এমহুর্তে গোটা জাতিকেই যেন এক করে খুশির জোয়াড়ে ভাসিয়েছে…তাইত আনন্দ মিছিলে রংয়ের খেলায় মন ভরে মেতে থাকা হলো সবার…
বিশেষ করে বৃটিশদের সাথে গুরুত্বপূর্ন ম্যাচে বলব মাশরাফি স্বল্প রানের পুজি নিয়েও নিজে ভাল করে সবাইকে উজ্জিবিত করে যে ভাবে মেধা খাটিয়ে ফিল্ডিং সাজিয়ে বোলারদের ব্যাবহার করে ম্যাচটা নিজের করে নিয়েছেন তার তুলোনাই নেই…তাইত জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা সহ সবাই রীতিমত স্যালুট জানিয়েই মাশরাফিকে প্রশংসায় ভাসালেন…অসাধারনই বল্লেন সবাই…বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক মহা তারকা,টিভি ধারা ভাষ্যকার ও নানা মিডিয়াতেও আজ প্রশংসা মাশরাফির…
…আঘাতের পর আঘাত সহ্য করেও কামব্যাক করে ফর্মের তুঙ্গে থেকে সুন্দর নেতৃত্ব দিয়ে সবাইকে এক সূতোয় বেধে মাশরাফি যে ভাবে দলটাকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন তার কোন তুলোনাই নেই…কলকাতার দাদা বাবু সৌরভ তাই বল্লেন অসাধারন…ওদিকে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার দীপ দাশ আনন্দ বাজার প্রত্রিকায় লিখলেন ”মাশরাফির টাইগার বাহিনী যে কোন দলকেই চমকে দিতে পারে…এরা বিশ্বাস করে হারার আগে হার বলে কিছু হয়না…এদের কাপ্তান মাশরাফি নিজেকে তুরে আনে…ওর পায়ের অবস্থা বেশ খারাপ…তা নিয়েও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে বল করল…ডাইভ দিয়ে বাউন্ডারী আটকালো…দলকে বোঝালো,আমি জেতার জন্য জীবন দিয়ে দেব…বাকি ১০জনত এসব দেখে তেতে যাবে…আবেগ-আগুন আর আত্মবিশ্বাস মাশরাফিদের বড় সম্পদ…কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতকে পেলে যারা আরো জেদ নিয়ে নামবে…চাইবে এমন কিছু করে দিতে যাতে অষ্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ কোনও দিন বাংলাদেশকে ভুলতে না পারে”…এমনতর প্রশংসা কার না ভাল লাগে…ইয়েস ওমন চাওয়াই কোটি টাইগার ভক্তের…দাদা সৌরভ যেমন বল্লেন এগিয়ে যাক বাংলাদেশ অনেকদূর…ইয়েস আজ না হোক কাল এগুবে বাংলাদেশ…এগিয়ে যাবেই অনেকদূর…যদি হয় এবারেই তাইলেত খুশির সীমা থাকবেনা.. …গর্জন..বদলে যাওয়া..বদলে দেওয়া..টাইগার দলটার এসবই হয়েছে বলব অতুলোনীয় ফাইটার ক্রিকেটার সেনাপতি মাশরাফির জন্যেই…মাশরাফি যেন ভিটামিন”সি” বা ”টনিক” হয়েই ধরা দেন গোটা দলের কাছে…বড় প্রেরনার নামই যে মাশরাফি…২০১৪ ছিলো বছর জুড়ে শুধুই পরাজয়ের হতাশা…এসময় বলতে হয় আস্থা ও বিশ্বাসে দল পরিচালনার দায়িত্বটা বোর্ড কর্তারা তুলে দিয়েছিলেন সেই লড়াকু ক্রিকেটার মাশরাফির হাতে…তারপর…তারপর শুরু জয়ের ধারায় ফিরে নুতন করে ইতিহাস রচনার…৮-০তে (৫ ওয়ানডে-৩ টেষ্ট) ওয়াইট ওয়াশ করানো হলো জিম্বাবেকে…অতঃপর বিশ্বকাপে ৩ জয়ে প্রথম বারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে…ভাবাই যায়না…
…আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়ে কতনা ছুড়ি চালানো হয়েছে তার পাঁয়ে…বার বার ফিরে এসেছেন দুর্দান্ত ভাবে জ্বলে উঠে…মাশরাফি ভেঙ্গে পড়ার বা হেরে যাবার পাত্র নন…জীবন বাজি রেখে লড়তে যানে…অন্যদের লড়তে শেখায়…এখানেই মাশরাফির যত গুন…যা তাকে আলাদা ভাবেই তুলে ধরে…যে কারনে দলের সকল ক্রিকেটারদের মাশরাফির প্রতি রয়েছে যেন গভীর ভালবাসা-আস্থা-নির্ভরতা…তিনি যে দারুন প্রেরনাদায়ক এক প্রিয় পাত্র….মাশরাফি বড় ফাইটারই শুধু নয় বড় মনের মানুষ হিসেবে সবার কাছেই প্রিয় এবং শ্রদ্ধার পাত্র…লড়াকু ক্রিকেটার মাশরাফিই যে আমাদের ক্রিকেটের আদর্শবান ক্রিকেটারের এক অতুলোনীয় আইকন…সদা হাঁসিখুশি প্রানোচ্ছল রসিক স্বভাবের মাশরাফিই পারেন স্বতীর্থদের নিজের লড়াকু মনোভাবে উৎসাহ ও সাহস জুগিয়ে আপন মনে কাছে টেনে নিতে…তাইত পেরেছেন দলটাকে এক সূতোয় বেধে দারুন ফাইটিং দলে পরিনত করতে…বলব দলটাকে উজ্জিবিত করে ক্রিকেটারদের ছড়িয়ে দিয়েছেন ভাল করার আর জয়ের এক নেশা…এখানে তুলে ধরা এই একটা ছবিই যেন কথা কয়…গর্জন..বদলে দেয়া..বদলে যাওয়ার অনেক কথাই ফুটে উঠে ছবিটার মাঝে…খেলা শেষে যে ভাবে ছুটে এসে মাটিতে শুয়ে পড়া মাশরাফিকে সবাই জড়িয়ে ধরলো এমন দৃশ্য আমাদের ক্রিকেটে বিরল…আগে কখনই দেখা হয়নি আমার…লাভ ইউ মাশরাফি…
Saleque Sufi
Mar 16. 2015
This brave boy majestic Mashrafee has all the quality to command Bangladesh in the cricket frontier . He is real tiger with his never say die approach in any match. Mashrafee Squad has already made Bangladesh proud to sporting world. Bangladesh has already become peoples champion .Bangladesh is not the gift from anywhere .We have earned everything paying high cost .We are sure India will find a different Bangladesh at MCG . Our Commander Mashrafee will roar once again
Shaheen
Mar 16. 2015
Darun likhechhen, Kiron Bhai. Ami shompurno ekmot apnar sathe.