১১ রানে অল আউট..০ রানে ৫ উইকেট দখল ভাবাই যায়না

যে কোন পর্যায়ের ক্রিকেট ম্যাচ হোকনা কেন ভাবাই যেন যায়না ১১ ব্যাটসম্যানের মাঝে ৭ জনই ০ রানে ড্রেসিং রুমে ফেরত!!!! .. কিংবা কল্পনাও করা যায়না মাত্র ২ রান তুলতেই ৮ জন আউট!!!!! আর ব্যাট থেকে আসা সর্বোচ রান হলো ১ রান!!! স্বপ্নেও কোন বোলারের মাথায় কি আসে ০ রানে ৫ উইকেট নেয়ার ভাবনা..২৬ রানেই একটি খেলা শেষ হয়ে যাবে কল্পনাতেও ভাবা যেন যায়না..আর অকল্পনীয় এসব কীর্তির কথা স্বপ্ন দেখা পাগলামিই মনে হবে তাইনা…তবে সত্য এসবই..ঢাকার লীগ ক্রিকেটে দলীয় সর্বনিম্ন রানের রের্কড অনেকেরই অজানা..থাকারই কথা..যেখানে ক্রিকেট বোর্ডেই রের্কড গুলো সযত্নে সংগ্রহ করে রাখার কোনই ব্যাবস্থা নেই সেখানে কে রাখে এসবের খবর..আমার জানা মতে,আমার সংগ্রহে থাকা তথ্য অনুযায়ী হয়তবা মাত্র ১১ রানের ইনিংসটিই এঅবধি দলীয় সর্বনিম্ন রানের রের্কড হয়ে আছে.. ১১ রানের মাঝেই ইনিংসের সমাপ্তি ভাবাই যায় না..

১৯৭৪-৭৫ মরসুমে ঢাকার দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ আসরে এই স্মরনীয় কীর্তির ঘঠনাটি ঘটিয়েছিলো ব্রার্দাস ইউনিয়ন দল..প্রতিদন্দ্বি দল ইউনাইটেড হিরোজ..কেউ ভাবেনি দলটি ১১ রানে অল আউট হয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাবে..আর এই চরম ধ্বস নামানোর মুল নায়ক হলেন বাবুল ও ফারুক..স্বপ্ন দেখার মতই বল করেছেন যেন বাবুল…০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট!!!! তার বোলিং ফিগারটা ছিলো এমন ৫.১ ওভার-৫ মেডেন-০ রান-৫ উইকেট…আর ফারুক নেন ৩রানে ৩ উইকেট (৬-৪-৩-৩)..ইউনাইটেড হিরোজের ৭ জনের ব্যাট হতে কোন রান আসেনি..ব্যাট হাতে সর্বোচ ১ করেছেন ৩জন..আর সর্বোচ ৮ রান আসে অতিরিক্ত থেকে..শাহনেওয়াজ-আমিন-কায়েসের ১ রান করে সংগ্রহের সাথে অতিরিক্ত ৮ রান যোগ হওয়ায় ১১ রানে ইউনাইটেড হিরোজের ইনিংসের যবনিকাপাত হয়..যে ৭ জন শুন্য রান করে বিদায় নেন তারা হলেন জামসেদ-সোহেল-করিম-আলী-রহমান-মিলন-ওয়াসিম..এখানে তুলে ধরার মত দিক হলো ইউনাইটেড হিরোজের রানের খাতায় ২ রান যোগ না হতেই আউট হয়ে যায় ৮জন ব্যাটসম্যান!!!

এখানে স্মরনযোগ্য যে  ৬৭ বল খেলে সেদিন ১১ রানে অল আউট হয়েছিলো ইউনাইটেড হিরোজ দল..জবাবে ব্যাট করতে নেমে অপু ৪ ও মন্টু ১১ রান তুলে অপরাজিত থাকলে খেলাটি মাত্র ২৬ রানের মাঝেই শেষ হয়ে যায়!!!!..আর ব্রার্দাস জয় পায় ১০ উইকেটে..

আরেক খেলায় মাহুতটুলী ক্লাব অল আউট হয়েছিলো ১৩ রানে..এটাও ছিলো দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের খেলায়..ধানমন্ডি ক্লাবের দুই বোলার ইয়াফি ও রফিকের মারাত্মক বেলিংয়ের মুখে ১৩ রানে অলআউট হয়েছিলো মাহুতটুলী ক্লাব..শেষ ব্যাটসম্যান লুকু সর্বোচ ৫ রান করলে দলের রান দশের কোঠা পাড় হয়…ইয়াফি ৭ রানে ও রফিক ৬ রানে ৪টি করে উইকেট দখল করেন..প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধানমন্ডি সংগ্রহ করেছিলো ১৩৩ রান..দিলু ৫২ ও বাদল ৩২ রান তুললে ধানমন্ডি ১৩৩ রানে অল আউট হয়ে যায়..সান্টু ৪১ রানে ৪টি ও লুকু ৩৭ রানে ৩ টি উইকেট নিয়ে কৃতিত্ব দেখান.. ..

One Response to “১১ রানে অল আউট..০ রানে ৫ উইকেট দখল ভাবাই যায়না”

  1. kishore

    Oct 08. 2012

    Unbelievable!

    Reply to this comment

Leave a Reply