চলে গেলেন একসময়ের বাংলাদেশ দলের খ্যাতিমান ফুটবলার বাদল দাশ
শনিবার রাত্রে ফেইস বুক ওপেন করেই ক্রীড়া সাংবাদিক আরিফুর রহমান বাবুর মন খারাপ করা ম্যাসেজ দেখেই জানলাম এক সময়ের বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খ্যাতিমান ষ্ট্রাইকার খাটোকায় বাদল দাশ আর নেই(ইন্না লিল্লাাহে…রাজেউন)..চলে গেলেন তারকা ফুটবলার বাদল মাত্র ৪৮ বছর বয়সেই..শনিবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সবাইকে কষ্ট দিয়েই যেন চীর বিদায় নিলেন প্রিয় ফুটবলার বাদল দাশ..তার এই অকাল মৃত্যুর খবরটা যেনেই স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠল অনেক কিছুই..যা ভুলে যাবার নয়..
মনে পড়ে “ক্রীড়াজগত” ম্যাগাজিনে বাদল দাশকে নিয়ে “উঠে আসছে যারা”ষ্টোরীতে প্রথম আমি লিখেছিলাম..তুলে ধরেছিলাম বাদলকে উঠতি প্রতিভা হিসেবে..স্মৃতির পাতায় আরো ভেসে উঠে ব্রার্দাসের হয়ে ১৯৮৮তে রবীন লীগের প্রথম খেলাতেই বাদলের চমকপ্রদ হ্যাট্রিক..১৯৮৭ সালের প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপের আসরে বাংলাদেশ সাদা দলের হয়ে থাইল্যান্ডের বিরুদ্বে দর্শনীয় হেডের গোলটি সহ আরো অনেক কিছুই..
..১৯৮৩ সালে তৃতীয় বিভাগ লীগে লিটল ফ্রেন্ডসের হয়ে খেলা শুরু করেই নজড় কেড়েছিলেন বাদল..আর তাই পরের বছরেই প্রথম বিভাগের দল ফরাশগঞ্জের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে যান..প্রথম বছরেই প্রশংসনীয় নৈপূন্য প্রদর্শন করে ৩ গোল করে রীতিমত তাক লাগান তরুন ষ্ট্রাইকার বাদল..এবং বড় দলের নজড়ে চলে আসেন..এসময় তাকে দলে ভিরিয়ে নেয় ব্রার্দাস ইউনিয়ন..আর সেই থেকেই বাদলের সুসময়ের সুচনা..ব্রার্দাসে এসে খ্যাতিমান কোচ সালাউদ্দিনের সংস্পর্শে বাদল নিজেকে ভাল ভাবেই তুলে ধরেন লীগে চমৎকার নৈপূন্য প্রদর্শনের মাঝে..সেই সাথে ১৯৮৭ সালেই প্রথম বারের মত সাফ গেমসের জাতীয় দলে ঠাই করে নেন..পরের বছর এশিয়া কাপেও খেলেছেন বাদল..১৯৯১ পর্যন্ত ছিলেন জাতীয় দলে..ফরাশগঞ্জরে হয়ে প্রথম বিভাগ লীগের সূচনা হবার পর নানা সময়ে লীগ খেলেছেন ওয়ার্ন্ডারাস,বাংলাদেশ বয়েজ,ইয়ংমেন্স ও ব্রার্দাসের হয়ে..এরমাঝে বলা যায় নিজের সেরা মওসুম কাটিয়েছেন ব্রার্দাসে খেলা কালীন সময়টায়….এরমাঝে ১৯৯৩ সালে বাদল দাশ ছিলেন বাংলাদেশ বয়েজের দলনায়ক..
ষ্ট্রাইকার বাদল ১৯৮৫ সালে ফরাশগঞ্জরে হয়ে ৩ গোল,১৯৮৬ সালে ওয়ান্ডার্সের হয়ে ৭ গোল,১৯৮৭ সালে ব্রাদার্সের হয়ে ২ গোল,১৯৮৮ সালে ব্রাদার্সের হয়ে ৩ গোল,১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ বয়েজের হয়ে ৩গোল,এবং জাতীয় দলের হয়ে ১৯৮৭ সাফ গেমসে ভুটানের বিরুদ্বে ১গোল,১৯৮৭ সালের প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপের আসরে বাংলাদেশ সাদা দলের হয়ে থাইল্যান্ড,ইষ্টবেঙ্গল,মালয়েশিয়ান গোয়াংডংয়ের বিরুদ্বে করা গোল গুলো ছিলো তুলে ধরার মত..এছাড়া বাদল ১৯৮৫ সালে জাতীয় যুব ফুটবলের ফাইনালে গোল করে কুমিল্লা জেলাকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এনে দিয়েছিলেন..
Bazlul Wahab Shaheen
Apr 06. 2013
He was a great striker. He played well for Bangladesh Shada in President Cup where White team lost to China in the semi final in tie breaker. In that tournament, Monu also played well.