দীপুর দুই বিরল রের্কড ইতিহাসের পাতায় আজও জ্বলজ্বলে হয়ে আছে

                                        দীপু রায় চৌধুরী..এক সময়ের আমাদের ক্রিকেটের জনপ্রিয় ও খ্যাতিমান এক অতুলোনীয় বাঁহাতি দেশ সেরা অলরাউন্ডারের নাম..বাংলাদেশ দল ও আবাহনীর হয়ে দাপটের সাথেই খেলেছেন দীপু..জাতীয় পর্যায়ের খেলায় যার রয়েছে কয়েকটি অসাধারন রের্কড…লোকাল ক্রিকেটে প্রথম বারেরমত এক খেলায় উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরী এবং ম্যাচে মনমাতানো শতরানের পাশাপাশি তাক লাগানো হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়েছিলেন দীপু…এমন নজীর বিহীন রের্কড অনেকের স্মৃতিতেই আজও জ্বলজ্বলে হয়ে আছে…থাকবেই না কেন প্রথম অভাবনীয় কীর্তির রের্কড বলে কথা…তাইত ইতিহাসের পাতায় দীপুর নামটি যেন স্থায়ীভাবে লেখা হয়ে আছে…হয়ত থাকবে অনেক দিন…তবে দুঃখজনক হলেও সত্য দীপুর মত ওমন আরো দুর্লভ কীর্তির গল্প কাহিনী গুলো আজকের প্রজম্নের কাছে যেন অজানা হয়েই আছে…কারন আর কিছুই নয় আমাদের ক্রিকেটের অসাধারন রের্কড গুলো ভাল ভাবে তুলে ধরা বা সংগ্রহে রাখার কোন প্রকার প্রয়াসই আজ অবধি বোর্ড কর্তারা নেননি…যা কিনা করা উচিত…অতীত ইতিহাস ভুলে যাওয়াটা সত্যি দুঃখজনক বৈকি…

                                     ব্যাটিং-বোলিং দুটোতেই ছিলো চৌকস ক্রিকেটার দীপুর সমান দাপট…শুরুটা ছিলো একজন বোলার হিসেবে…ব্যাটিংটা করতেন চলনসই…একটা সময় নিজেকে ভাল ভাবে তুলে ধরে প্রতিষ্টিত করতে এবং জাতীয় দলে ঠাই করে নিতে অনুশীলনে গভীর মনোনিবেশ করতে থাকেন…বোলিংয়ের ধার বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাটিংএ নজড় দেন বেশী করে…সফল হতে খুব একটা বেশী সময় লাগেনি তার…এরপর এক একটি খেলায় ব্যাটে-বলে চৌকস নৈপূন্যে প্রদর্শন করে নিজেকে যেন তুলে ধরেন আলাদা ভাবেই…এবং জাতীয় দলে ঠাই করে নেননি শুধু,নিজেকে অপরিহার্য্য অলরাউন্ডার হিসেবেও প্রতিষ্টিত করেছিলেন…

                                       কৃতিমান অলরাউন্ডার দীপু রায় চৌধুরীর ইতিহাসের পাতায় ঠাই করে নেয়া দুই অনন্য অসাধারন রের্কডের একটি ছিলো একই ম্যাচের উভয় ইনিংসেই দুদুটো নয়নজুড়ানো সঞ্চেুরী… ১৯৮০-৮১ মরসুমে ঢাকায় প্রথম বারের মত অনুষ্টিত হয়েছিলো বিভাগীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা…বলা যায় অনেকটা দীপুর একক নৈপূন্যের সুবাদেই প্রথম বারেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয করে নেয় খুলনা বিভাগ দল…ফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ন খেলায় সেরা অলরাউন্ডার দীপুর ব্যাট থেকে আসে উভয় ইনিংসেই দুর্দান্ত দুটো শতরান…অসাধারন এরের্কডটি আজও স্মৃতির পাতায় জ্বলজ্বলে হয়ে আছে…
রাজশাহী বিভাগের বিরুদ্ধে ফাইনালের প্রথম ইনিংসে ১২২ রান ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৬ রান সংগ্রহ করে দীপু ইতিহাস সৃষ্টির মাঝে ফাইনাল ম্যাচটিকে স্মরনীয় করে রাখেন…প্রথম শতরানটি তুলতে দীপু সময় নিয়েছিলেন ২৮২মিনিট…১২২ রান তোলার মাঝে দীপু বাউন্ডারীর মার মারেন ১৩টি…অপর দিকে দ্বিতীয় শতরান তুলতে দীপু বাউন্ডারী হাঁকান ১৪টি…১৭৪মিনিট ব্যাট চালিয়ে দীপু তোলেন ১০৬ রান..দুই শতকের পাশে দীপু প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৩টি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ রানের খরচায় নিয়েছিলেন ১টি উইকেট…

                                          দীপু ১২২,আশরাফুল ৬৩,ইউসুফ বাবু ৬১ ও তান্না ৫৬ রান তুললে ফাইনালে খুলনা বিভাগ প্রথমে ব্যাট করে ৪১১ রান সংগ্রহ করে…সাদ ৫৬ রানে ও শাহেদ ৬০ রানের বিনিময়ে ৩টি করে উইকেট দখল করেন..জবাবে রাজশাহী বিভাগ ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০৬ রানে অল আউট হয়ে যায়…এরমাঝে শাহেদের ৩০ ও মিজানের ২৭ রানই ছিলো তুলে ধরার মত…দীপু ২৬ রানে ৩টি ও তান্না ২টি উইকেট লাভ করেন…খুলনা ৩০৫ রানে এগিয়ে থেকেও পুনরায় ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২১২ রান তুলে ইনিংস ঘোষনা করে…দীপুর ১০৬ রান ছারাও তুলে ধরার মত ছিলো মাইনুর ৫০ রান..নাদির শাহ ৫৫রানে ৪উইকেট নিয়ে কৃতিত্ব দেখান…খেলার শেষ ও ৪র্থ দিন ৫১৮ রানের টার্গেট সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে মিজানের ৬৬,শাহেদের অপঃ৬০ ও নাদির শাহর ৪৮ রানের কৃতিত্বে রাজশাহী বিভাগ ৬ উইকেটে ২৯৩ রান তুলে নেয়ার পর সময়ের স্বল্পতার কারনে খেলার ইতি টানা হয়…ফলে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় খুলনা বিভাগ দল…

                                               এছারা সে সময়ের দেশ সেরা তুখোর অলরাউন্ডার দীপু আরেকটি নজীড় বিহীন বিরল রের্কড সৃষ্টি করেন ঢাকা ক্রিকেট লীগ আসরে…১৯৮০-৮১ মরসুমে আবাহনীর দলনায়ক দীপু গেন্ডারিয়া ক্রিকেটার্সের বিরদ্ধে একই খেলায় হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরী হাঁকিয়ে রীতিমত চমক সৃষ্টি করেন…খেলায় এক ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে দীপু হ্যাট্রিক সহ ৪ উইকেট দখল করেছিলেন…ব্যাট হাতে নেমে ঝকঝকে অপরাজিত ১০৩ রান উপহার দিয়েছিলেন..১৪১ মিনিট ব্যাট চালিয়ে ১৭টি বাহারী বাউন্ডারী হাঁকিয়ে দীপু তার শতরান পূর্ন করেছিলেন…যে অনন্য কীর্তি আজও ইতিহাস হয়ে আছে..

                                               এছাড়াও খ্যাতিমান ক্রিকেটার দীপু রায় চৌধুরীর আরো একটি মারমুখো ব্যাটিং নজীড় ছিলো তুলে ধরার মত..১৯৭৬-৭৭ মরসুমের ঢাকা লীগে একবার জিমখানা দলের বিরুদ্ধে এক ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন রের্কড পরিমান ৩০ রান..খেলার শেষ ওভারে বোলার বিল্লুকে অসহায় করে তুলে দীপু সে খেলায় ৩০রান তোলেন এভাবে ৬+৬+৬+৪+৪+৪=৩০রান…

5 Responses to “দীপুর দুই বিরল রের্কড ইতিহাসের পাতায় আজও জ্বলজ্বলে হয়ে আছে”

  1. Arian Nuhan

    Aug 27. 2012

    WOW!!!YOU’RE PRETTY AWESOME!!!!BUT THE CRICKET BOARD REALLY SHOULD DO SOMETHING ABOUT IT.HE’S A LEGEND OF THE WORLD AND HE IS BANGALI SO THEY REALLY REALLY SHOULD CONSERVE HIS TITLE.AFTERALL HE IS A PLAYER OF BANGLADESH SO EVERY BANGALI SHOULD BE PROUD OF THIS!!!!!!HATS OFF TO YOU DIPU RAY CHOWDHURY!!!!!!

    Reply to this comment
  2. Soleman Rahman

    Sep 26. 2012

    Yes they really should make his record in the page of history.He is the fallen star from above.And our children should also know about this.There are many young players nowadays but he was far more better than them.So our children should know about this and he should be in the page history.This is a personal request from me please do think about it.Thank you

    Reply to this comment
  3. Mohammad Ali

    Sep 26. 2012

    I also strongly deny this fact.How can this be?I mean how could this be?He is a star from above!!!And he really have done a lot for our country so he should be given his deserved honour and be put in the history

    Reply to this comment
  4. Mohammad Fahim Khan.

    Sep 26. 2012

    This is really a disgrace!!!!!!!!He really is someone who should be put in the book of history but still nobody did.I really agree that he should be given at least some honour and respect for what he have done for our country by putting him in the History.And our children should know about this so it is also a request from me.

    Reply to this comment
  5. Shaheen

    Oct 11. 2014

    Wow….really great records by Dipu Chowdhury.

    Reply to this comment

Leave a Reply to sabbir