স্মৃতির পাতায় এক সময়ের দেশ সেরা লেফট ব্যাক স্বপনদাশ

SHOPON DAS2…আমার অনেক ভাল লাগার প্রিয় মানুষ এক সময়ের দেশ সেরা লেফট ব্যাক ও দু দুবারের জাতীয় দলের দলনায়ক এবং ’৮৪ সালের ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের কাপ্তান ভদ্র ও বিনয়ী স্বভাবের তুখোর ফুটবলার স্বপনদাকে নিয়ে লিখেছেন মহাপাগল ব্যাতিক্রমধর্মী মোহামেডান সমর্থক দলের প্রতিষ্ঠাতা টি.ইসলাম.তারিক…ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে…খ্যাতিমান লেফট ব্যাক স্বপনদার সাথে আমার পরিচয় আজ হতে ৪০ বছর আগে…’৭৭ সালে ময়মনসিংহে থাকাকালীন সময়টায় পুলিশ দলের হয়ে খেলতে এসেছিলেন স্বপনদা ময়মনসিংহে…খেলার ছবি সংগ্রহ আর ছবির মাঝে অটোগ্রাফ নেবার নেশায় ছুটে গিয়েছিলাম স্বপনদার কাছে…সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম ওসময়ে নানা দৈনিকে ছাপা হওয়া স্বপনদার বেশ কিছু ছবি…যা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন স্বপনদা…তার সাথে সখ্যতাটা সেই শুরু…এরপর বাবার চাকুরী সূত্রে ’৭৮ সালে চট্রগ্রামে চলে যাওয়া হয়েছিলো আমার…মনে পড়ে তখন চিঠি লেখার মাঝে পত্রমিতালী করা হত স্বপনদার সাথে…সে সময় স্বপনদা খেলার কারনে যতবারই চট্রগ্রামে যান প্রতিবারেই আমার বাসায় গিয়ে দেখা করতে ভুলেননি…স্বপনদা জাতীয় দলের সাথে যতবারই বিদেশে খেলতে যেতেন প্রতিবারই তখন চিঠি লিখে অনুরোধ করতাম যেন সে দেশের পেপারে বাংলাদেশ দলের খেলার ছবি ছাপা হলে যেন আমার জন্য সংগ্রহ করে আনেন…ঠিক ঠিক পত্রিকা গুলো সাথে করে নিয়ে এসে আমাকে দিয়ে যেতেন স্বপনদা…অবাক শুধু নয় মুগ্ধই হতাম খুব সাদা মাটা নিঃঅহংকার ও অমায়িক স্বভাবের স্বপনদার আন্তরিক স্নেহ ও ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখে…আজও এতটুকুন কমতি নেই সেই ভালবাসার…বলব আমার ছবি সংগ্রহ-লেখালিখির বড় প্রেরনা হয়েছিলেন স্বপনদা…স্বপনদার সুস্বাস্থ ও দীর্ঘজীবন কামনা করি সব সময়…ভাল থাকুন…সুস্থ থাকুন…সুন্দর থাকুন প্রিয় স্বপনদা…

12 july 17-janakantha-0

…দৈনিক জনকন্ঠে জাতীয় দলের এক সময়ের দেশ সেরা লেফট ব্যাক খ্যাতিমান ফুটবলার স্বপন দাশকে নিয়ে টি.ইসলাম.তারিকের লেখা…

...মহাপাগল ব্যতিক্রমধর্মী মোহামেডান সমর্থক দলের চার পৃথক অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের এক সময়ের তারকা ফুটবলার স্বপনদাশকে দেখা যাচ্ছে ভক্তদের মাঝে...

…মহাপাগল ব্যতিক্রমধর্মী মোহামেডান সমর্থক দলের চার পৃথক অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের এক সময়ের তারকা ফুটবলার স্বপনদাশকে দেখা যাচ্ছে …

                                      বলতে হয় নিজ প্রতিভা গুণেই যেন একটা সময় নিজেকে দেশ সেরা লেফট ব্যাক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মুন্সিগঞ্জ থেকে উঠে আসা জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার স্বপন দাশ। এক দশকেরও বেশী সময় ধরে ঢাকা মাঠে খেলে গেছেন সুনাম আর দাপটের সাথেই। জাতীয় ফুটবল দলে একটানা সুনামের সাথেই খেলেছেন ’৭৮ সাল থেকে ’৮৫ সাল পর্যন্ত। ’৭৮ সালে প্রথমবারের মত ঢাকার এশিয়ান যুব ফুটবলে খেলার পরপরই সুযোগ লাভ করেছিলেন একই বছরে ব্যাংকক এশিয়াডের মূল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে। পরবর্তী সময়ে জাতীয় দলের হয়ে স্বপন দাশ খেলেছেন ’৭৯তে একাধারে ঢাকার এশিয়ান কাপ-মালয়েশিয়ার মারদেকা টুর্নামেন্ট-দক্ষিন কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপ-’৮০ ও ’৮১তে ঢাকায় ও ব্যাংককে এশিয়ান যুব ফুটবল-’৮২তে পাকিস্তানের কায়দে আযম ট্রফি ও দিল্লী এশিয়ান গেমস-’৮৩ তে মালয়েশিয়ার মারদেকা আসর-’৮৪তে জার্কাতায় এশিয়ান কাপ টুর্নামেন্টে-’৮৫তে বিশ্বকাপ বাছাই ও পাকিস্তান কায়দে আযম ট্রফি এবং ’৮১ খেকে শুরু করে ৩ বার ঢাকার প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপে। এর মাঝে খ্যাতিমান লেফট ব্যাক স্বপন দাশ ’৮৩-র ঢাকার প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপে ও ’৮৫তে পাকিস্তান কায়দে আযম ট্রফিতে দু’দুবার জাতীয় দলের দলনায়ক ছিলেন। ওদিকে ’৭৬ সালে পুলিশের হয়ে খেলা শুরু করে ওয়ারী ও ওয়ান্ডারার্স ঘুরে ’৮০তে মোহামেডানে যোগ দিয়েই স্বপন দাশ নিজেকে তুলে ধরেছিলেন দারুণ ভাবে।’৮০ থেকে ’৮৫ মরসুমে মোহামেডানে খেলে যোগ দিয়েছিলেন ব্রাদার্সে। অবশেষে ’৮৮তে আবারও মোহামেডানে এসে ফুটবলকে বিদায় দেন। এরপর খেলা ছেড়ে কোচিং পেশায় জড়ান স্বপন দাশ। আরামবাগ-বিপিডব্লিউডি-আদমজী-ফরাশগঞ্জ-এবং চট্রগ্রাম আবাহনীর কোচের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও জাতীয় অনুর্ধ্ব ১৬ এবং ঢাকার প্রেসিডেন্ট কাপে জাতীয় দলের সহকারী কোচও ছিলেন।

1982 MSC

…১৯৮২ সালের লীগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান দলে স্বপনদাশ দাঁড়ানো বামের চতুর্থ…

No comments.

Leave a Reply