স্মৃতি তুমি বেদনা…বাংলাদেশ-৮-মালদ্বীপ-০

bd 8-0 maldep-২০১৫ সাফ ফুটবল আসরে আজ ২৬ ডিসেম্বর সবাইকে চরম হতাশায় ডুবিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ দল লজ্জাজনক ভাবে পরাজয়ের স্বাদ নিলো মালদ্বীপের কাছে। ফলাফল মালদ্বীপ ৩ বাংলাদেশ ১।আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ০-৪ গোলে হেরেছিলো কোচ মারুফের বাংলাদেশ দল। বড় হতাশাটা ছিলো সাফের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নেয়াটা।যদিও আরো একটি খেলা বাকি ভূটানের বিরুদ্ধে। খেলোয়াড়দের যে মনের জোড় আর খেলার ধরন তাতে শেষ ম্যাচে জয়ের দেখা পাবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহের কারন রয়েছে। ভাবতেই খারাপ লাগে একটা সময় মালদ্বীপের মত দলকে ছেলে খেলা খেলে ৮-০ গোলেও হারিয়েছিলো বাংলাদেশ দল। বলছিলাম ১৯৮৫ সালের সাফ ফুটবলের কথা। ঢাকা ষ্টেডিয়ামে সেবার মালদ্বীপকে পেয়ে যেন গোল করার কাড়া কাড়ি লেগে গিয়েছিলো আমাদের তারকা ফুটবলারদের মাঝে। সেদিন খ্যাতিমান ষ্ট্রাইকার আসলাম-রক্ষনদূর্গের শক্তখুটি ষ্টপার ব্যাক কায়সার হামিদ ও তূখোর উইঙ্গার ওয়াসিম করেছিলেন দুটো করে গোল। অপর দুঠো গোল করেছিলেন মামুন বাবু ও ইলিয়াস। আর আজ ঠিক ৩০ বছর পর অনেক হতাশার মাঝে চেয়ে চেয়ে দেখতে হলো সেই মালদ্বীপের কাছে ১-৩ গোলের লজ্জাস্কর পরাজয়ের মহুর্ত। ভাবাই যায়না।

BD-8-0-3৮ গোলে জয়ের আরো একটি মনে দাগ কাটার মত খেলার কথা আজ খুব করেই মনে পড়ছে। ১৯৯১ সালের কথা। প্রিঅলিম্পিক ফুটবলে অংশ নিয়েছিলো আমাদের জাতীয় অনুর্ধ ২৩ দল। এশিয়া অঞ্চলের ডি গ্রুপের বাছাই পর্বের আসর বসেছিলো দক্ষিন কোরিয়ার সিউলে। নকিবের অসাধারন গোল নৈপূন্যের কৃতিত্বে শেষ খেলায় ফিলিপিনকে ৮-০ গোলের ব্যাবধানে শোচনীয় ভাবে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ দলটি। কুশলী ষ্ট্রাইকার নকিব মনমাতানো হ্যাট্রিকসহ একাই সর্বোচ ৫ গোল করে রীতিমত তাক লাগিয়ে মন কেড়েছিলেন সবার। যা আমাদের ফুটবলে অনন্য রের্কড হয়ে আছে আজও। কারন ওটাই ছিলো জাতীয় দলের হয়ে আজ অবধি সর্বাধিক ৫ গোলের দুর্লভ রের্কড। অপর ৩ গোলের মাঝে সে খেলায় মামুন জোয়ারদার দুটো ও শাব্বীর একটি গোল করেন।

bd 8-0 filipin

…ফিলিপাইনকে ৮-০ গোলে হারানো বাংলাদেশ অলিম্পিক দল…

কালের পরিক্রমায় আজ হারিয়ে গেছে ফুটবলের স্বর্নালী দিনের সেই মাঠ মাতানো মন জুড়ানো খেলা আর আনন্দে ভড়িয়ে দেয়া জয়ের সুখ স্মৃতি গুলো। এক একটি আশাহত পরাজয়ে আজ শুধুই হতাশায় দিন কাটাতে হচ্ছে এদেশের অগনিত ফুটবল পাগল ভক্তদের। বারবার তারা হচ্ছেন বেদনা ভারাক্রান্ত। তবে এই ভেবে স্বান্তনা খুজি সেই সাথে আশায় বুক বাধা হয় হয়তবা ঘুরে ফিরে আবারও কোন এক সময় ফুটবলের সুদিন ফিরবে। প্রয়োজন শুধু ফুটবলের উন্নয়নে আন্তরিকতায় ভরা সাংগঠনিক দক্ষতা আর কিশোর ফুটবলারদের নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। ভাল কিছু দেখার অপেক্ষায় অপেক্ষায় বেলা যে বয়ে গেলো অনেক। ভাবি অতীতের সুখকর স্মৃতি গুলো শুধু আনন্দেরই নয় বেদনাময়ও হয়ে উঠে কখনও কখনও।

...’৮৫-র বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল...

…’৮৫-র বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল…

No comments.

Leave a Reply