প্রথম জাতীয় ফুটবল দলের খ্যাতিমান ব্যাক দীলিপ বড়ুয়ার চীর বিদায়
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় ফুটবল দল ১৯৭৩ সালে গঠন করা হয়েছিলো। সে বছর জাতীয় ফুটবল দল মালয়েশিয়ার ১৯তম মারদেকা কাপে খেলতে গিয়েছিলো জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে। সেই জাতীয় দল ও চট্রগামের এবং ঢাকা লীগের ওয়াপদা দলের খ্যাতিমান কুশলী ষ্টপার ব্যাক দীলিপ বড়ুয়া আর নেই(ইন্নালিল্লাহে…..রাজেউন) । চীর বিদায় নিয়ে চলে গেলেন এজগত থেকে। চট্রগ্রামের মানুষজন যখন শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ে মেতে উঠেছিলেন দারুন ভাবে ঠিক তখনি ওমন একটা দু:সংবাদ পাওয়া হবে কেউ ভাবেননি। সঙ্গত কারনেই ব্যাপরটা অনেককেই শোকের মাঝে ডুবিয়ে রাখে।
কৃতি ষ্টপার ব্যাক দীর্ঘকায় দীলিপ বড়ুয়া দীর্ঘদিন ঢাকা লীগে ওয়াপদার হয়ে এবং একেই সাথে চট্রগ্রাম লীগেও ওয়াপদার হয়ে দাপট আর সুনামের সাথেই খেলে গেছেন। ঢাকায় বড় দলের বাইরে ওয়াপদার হয়ে লীগে নৈপূন্যেদীপ্ত খেলা উপহার দিয়েই বাংলাদেশ দলে ঠাই করে নিয়েছিলেন নিজ যোগ্যতার গুনেই। চট্রগ্রাম জেলা ‘৭৭ সালে যেবার প্রথম জাতীয় ফুটবলে রার্নাসআপ হয়েছিলো সেবার জেলা দলের দলনায়ক ছিলেন দীলিপ বড়ুয়া। খেলা ছেড়ে দেবার পর চট্রগ্রাম জেলা দল ও লীগে মোহামেডান-ওয়াপদা এবং সিটি করর্পরেশন দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেন দক্ষতার সাথে। ২০১১ সালে তার কোচিংএ সিটি করর্পরেশন দর লীগে চ্যাম্পিয়নও হয় । তার এবিদায় চট্রগ্রাম ফুটবলের এক বড় শোক বার্তাই নিয়ে আসে।
জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা মোহামেডানের এবং চট্রগ্রামের আরেক তারকা ষ্টপার ব্যাক এজহারুল হক টিপু বলেন দীলিপ বড়ুয়া অনেক বড় মাপের মেধাবি ফুটবলার ছিলেন সন্দেহ নেই। ঠান্ডা মাথায় নিপুনতার সাথেই নিজ দূর্গ আগলে রাখতেন দীলিপদা। ’৭৩ সালের দিকে ঢাকা লীগে অনেক তারকার মাঝেও দীলিপদা লীগে অসামান্য দক্ষতার সাক্ষর রেখেই জাতীয় দলে সুযোগ করে নিয়েছিলেন। তিনি শুধু আমাদের অবিভাবক নয় ছিলেন প্রেরনাদাতা। তার নেতৃত্বেই চট্রগ্রাম জেলা প্রথম জাতীয় ফুটবল আসরে রার্নাস আপ হয়েছিলো। ব্যাক্তি জীবনে ভদ্র-অমায়িক ও সরলমনের এক ভাল মানুষই ছিলেন আমাদের চট্রগ্রাম ফুটবলের গর্ব দীলিপদা।
Bazlul Wahab Shaheen
Oct 29. 2015
Thanks for sharing the news of Mr. Dilip Barua’s demise. This is a sad news for Bangladesh football.