আবারও গর্জে উঠবেই টাইগার মাশরাফির দল

m45…আমার এক গুরুজন সব সময় আমাকে উপদেশ দেন,যত বড়ই হও না কেন পা যেন মাটিতেই থাকে…কথাটার সারমর্ম বুঝতে দেরী হলোনা…অহংকারই যে পতনের মূল ওটাই সেকথার মাঝে নিহিত…গতকাল ছিলো লংকানদের সাথে টাইগার বাহিনীর এক গুরুত্বপূর্ন খেলা…দলের প্রতি প্রত্যাশাও ছিলো অনেকখানি…বলতে দ্বিধা নেই ’৯৬ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন লংকানদের তুলনায় আমরা কিছুটা হয়ত দুর্বল তবে একেবারে পিছিয়েও নেই…জিততে নাও পারি একদম ছেড়ে কথা বলার মত মোটেও নয়…দলটার সেনাপতি যে ফাইটার ক্রিকেটার মাশরাফি…তাইত প্রত্যাশাটা এমনিতেই বেড়ে যায় অনেকখানি…কারন তিনি যে দলের অন্তঃপ্রান জেদী ও লড়াকু খেলোয়াড় মাশরাফি…

m1

…হতাশা আর ক্ষোভের এক দিন মাশরাফির…

…মাঠে মাশরাফির উপস্থিতি আর নেতৃত্বদানের গুনাবলি দলের বাড়তি প্রেরনাই শুধু নয় দলটাকেও করে তুলে দারুন ভাবে উজ্জিবিত…খেলায় সহজেই হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্র নন মাশরাফি…নিজের সবটুকু উজাড় করে লড়তেই ভালবাসেন যেন মাশরাফি…সামনে থেকেই নিজের সেরাটা উপহার দিতে রাখেন না কোন ক্রুটি…এবারের বিশ্বকাপের প্রধম ম্যাচের শুরুতেই দু দুটো মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে শুধু আফগানদের কোমড়ই ভেঙ্গে দেননি জয়ের পেছনে বড় ভূমিকাও রাখেন…

…লংকানদের বিরুদ্ধে খেলার শুরুতেই সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন বল হাতে ভাল ভাবেই…কিন্ত হায় কপাল যে মন্দ…শুরুর ক্ষনেই যে ফেলে দেয়া হলো মাশরাফির বলে দু দুটো সহজ ক্যাচ…চললো কল্পনাহীন ভাবেই টানা বেশ কটা ক্যাচ ফেলে দেয়ার আর মিস ফিল্ডিংয়ের মহড়া…ক্যাচ ফেলেছেন আনামুল-মোমিনুল-মুশফিক-তাসকিন…সেই সাথে তিন হাত বাইরে চলে যাওয়া ব্যাটসম্যানকে যে ভাবে বল গ্লাভসে বন্ধি করতে না পেরে ষ্টাম্পিং মিস করেছেন মুশফিক যা দেখেও নিজের চোঁখকে বিশ্বাস করানো যাচ্ছিলোনা…ফিল্ডিং দেখে মনে হয়েছে আমরা হচ্ছি সদ্য অভিষেক হওয়া কোন দল…তাই অবস্থা যেন হয়েছে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি…অবশেষে সে হতাশার দুঃসসময় পার হলো লংকারদের ১ উইকেটেই রের্কড পরিমান ৩৩২ রান তুলে নেয়ার মাঝে…

...এমন হতাশাগ্রস্থ মুখ যেন দেখতে চায়নি কেউই...

…এমন হতাশাগ্রস্থ মুখ যেন দেখতে চায়নি কেউই…

…ব্যাটিং উপযোগী উইকেটে বড় স্কোর আর লঙ্কানদের নান্দনিক ব্যাটিং দেখার পর মনে হয়েছিল কিছু একটা হয়ে যেতেই পারে…তাইত আশায় বুক বাঁধা হয়েছিলো টাইগার বাহিনীও ভাল কিছু করে দেখিয়ে দেবে…হয়ত হারার আগেই হারব না…শেষ বল পযন্ত খেলে যাব…এগিয়ে যাব অনেকদূর…জিততে না পারি তবে হারলেও লড়েই হারব…ওমন ভাবনাটাই ছিলো স্বাভাবিক…লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ…আছে যে ৮ ব্যাটসম্যান…তা না হলে কেন দলের সেরা দুই পিরামিডকে খেলতে হয় ৬ ও ৭ নামারে…কিন্ত হায় সব ভাবনার যে গুড়োবালি…হারতে হলো ৯২ রানের বড় ব্যাবধানে…

...লংকান দলের সাথে হারের হতাশার মাঝেও আলো ছড়ালেন একমাত্র তরুন প্রতিভা শাব্বীর অর্ধশতক হাঁকিয়ে...

…লংকান দলের সাথে হারের হতাশার মাঝেও আলো ছড়ালেন একমাত্র তরুন প্রতিভা শাব্বীর অর্ধশতক হাঁকিয়ে…

…কেন যানি মনে হয় প্রথম খেলায় সহজ জয়ে অতিরিক্ত আত্তবিশ্বাসে ভুগেই ব্যাটসম্যানদের কাল হয়ে ধরা দেয়…নইলে কেনই বা আজ প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা নামের প্রতি সুবিচার করে নিজেদের ভাল ভাবে মেলে ধরতে পুরোপুরি ব্যার্থ হবেন…তুলে ধরার মত সর্বোচ ৫৩ রান আসে ৮ নম্বরে নামা তরুন প্রতিভা শাব্বীরের ব্যাট থেকে…আর ৩ ওভার হাতে রেখেই দল ইনিংস শেষ করে ২৪৩ রানের মাথায়…তাও লাকটা ভাল কটি ক্যাচ ফসকালো লংকানরা…নইলে কি যে হত…

…ভেবেই পাইনা কেন জানি অনেকটা দিন এক সাথে  খেলে আসার পরও বোঝা পড়ার অভাবে হতে হছে রান আউট…এখনও চলছে অহেতুক সেই উইকেট বিলিয়ে আসার মহড়া…প্রথম ওভারের ২য় বলেই তামিমের শুন্য রানে বিদায়ের পর যেখানো বড় প্রয়োজন ছিলো দেখে শুনে দায়িত্ব নিয়ে ধরে খেলার সেখানে কিনা শুরু করে দেয়া হলো অসময়ে মারমার কাট কাট ব্যাটিং…শেষমেষ ফলাফল জয়ের অনেক দূরে থেকেই হারের স্বাধ নিয়ে মাঠ ছাড়া…

...উড়াল দিয়েছিলেন মেলর্বোনে সাকিবের জীবন সঙ্গীনি খেলা দেখতে...তবে চেহারাই বলে দিচ্ছে খুশিত নয়ই বরং হতাশ অনেখানি...

…উড়াল দিয়েছিলেন মেলর্বোনে সাকিবের জীবন সঙ্গীনি খেলা দেখতে…তবে চেহারাই বলে দিচ্ছে খুশিত নয়ই বরং হতাশ অনেখানি…

…না বলে পারছিনা আমাদের টাইগার বয় মুমিনুল কে বলা হয় বিশ্ব ক্রিকেটের আগামীর সম্ভাবনাময় উজ্জল উঠতি তারকা…আর আমাদের যেন সেই তারকাকে খসিয়ে ফেলার জন্য আপ্রান চেষ্টা…তাকে তার জায়গায় না খেলিয়ে এক এক দিন এক এক পজিশনে ঠেলে দিয়ে মনোবলটাই ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে…সাকিব ও মুশফিককেও পজিশন বদল করানো হচ্ছে…বিশ্বকাপ আসরটা যে  এক্সপেরিমেন্ট এর জায়গা নয় আমরা বারবারই তা ভুলে যাচ্ছি…কেন যেন ওরা ভুলে যায় মাঠে খেলে ওরা ১১ জন কিন্তু আবেগে ভাসি আমরা বাকি ১৬ কোটি মানুষ…

…না বলে পারা যায়না টীম ম্যানেজমেন্টের  অনেকটা এলো মেলো পরিকল্পনার মাঝেও বড্ড গা ছাড়া ভাব…তাদের যেন কোন দায়িত্ব নেই…সব যেন ঐ খোঁড়া পাগলাটারই দায়িত্ব…যে কিনা নিজের সব কিছু বিলিয়ে দিয়েই যাচ্ছে মন প্রান উজার করে…কারন ও যে পাগলা ফাইটার টাইগার…বড় ভালবাসার মানুষটি যে আমাদের সবার প্রিয় মুখ সেনাপতি মাশরাফি…তাইত দলের ব্যার্থতার মাঝেও হতাশায় ডুবে থাকা হয়না ক্রিকেট পাগল প্রেমিক কোটি ভক্তদের…পরের ম্যাচের জন্য এক একটি প্রহর গুনে আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করা হয়…নতুন আশায় বুক বাঁধা হয় জয়ের স্বাধ নেয়ার মাঝে আনন্দে গাঁ ভাসানোর…সব ভুল ত্রুটি ভুলে গিয়ে ভাল খেলে বিজয় মাল্য পরে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়ুক আমাদের ১১ সেনা নায়কেরা…লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে গর্বে বিজয় উৎসব এ মাতুক ১৬ কোটি মানুষ…গর্জে উঠো আবারও টাইগার বাহিনী…একবার নয় জয়ের আনন্দে মেতে থাকা হোক বার বার…এখনি সময় নিজেদের শ্রেষ্টত্বের প্রমানের…We are still with u tigers…

...ডানে হতাশায় বিষন্ন মাশরাফি-আনামুল-মোমিনুল...বাঁয়ে শাব্বীরের অর্ধশত রানে হাততালি দিচ্ছেন নাসির ঠিকই তবে চোঁখে মুখে একরাশ যন্ত্রনার ছাপ স্পষ্ট...

…ডানে হতাশায় বিষন্ন মাশরাফি-আনামুল-মোমিনুল…বাঁয়ে শাব্বীরের অর্ধশত রানে হাততালি দিচ্ছেন নাসির ঠিকই তবে চোঁখে মুখে একরাশ যন্ত্রনার ছাপ স্পষ্ট…

No comments.

Leave a Reply