স্বপ্ন ভঙ্গের জ্বালা নিয়ে না খেলেই ঘরে ফিরছেন আল আমিন

munna-1…প্রতিটি ক্রিকেটারেরই বলব বহুদিনের একটা লালিত স্বপ্ন থাকে…তা হলো বিশ্বকাপের মত বড় আসরে খেলা…বিশ্বকাপ দলে নিজের নামটি লিখিয়ে নেয়া…এ যে বিশ্ব মাতানোর বড় আসর…এখানে ভাল কিছু করতে পারলেই যে নজর কাড়ার মাঝে তারকা খ্যাতি পেয়ে যাওয়া…আর নিজের নামটি ভাল করেই ক্রিকেট বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া যায়…তাইত এমন মক্ষম সুযোগের অপেক্ষাতেই যেন প্রহর গুনেন এক একজন ক্রিকেটার…ঠিক যেমনটা ছিল আমাদের পেসার আল আমিনের…নিজের যোগত্যা প্রমান করে সেই স্বপ্ন পূর্ণও হয়েছিল তার…উড়েও গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়াতে কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের মশাল নিয়ে…বাকি ছিল শুধু নিজ হাতে স্বপ্নটাকে ছোঁয়া…আর মশালের আলোতে আলোকিত করা…আশায় ছিলেন দেশের হয়ে লাল সবুজের পতাকাকে অনেক উচুতে তুলে ধরতে নিজের সব কিছু উজাড় করে খেলবেন…হলোনা স্বপ্ন পূরন…স্বপ্নটা যে বেদনাময় এক দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠবে কখনও ভাবতেই যেন পারেননি আল আমিন…পারেনি কোটি কোটি টাইগার ভক্তরাও…আল আমিন হয়ত ভেবেছিলেন প্রথম ম্যাচেই দলে থাকবেন…হয়নি সুযোগ…হাল ছাড়েননি…জিদটা যেন বাড়িয়ে দেয় সুযোগ পেলেই ভাল কিছু করে দেখানোর…ওদিকে প্রথম ম্যাচে আফগানের বিরুদ্ধে সহজ জয়ে কোটি মানুষ বিজয় উল্লাসে ভাসছে হয়ত সে কারনে নিজের না খেলতে পারার কষ্টটা আর দুঃখ মনে হয়নি…সেই সুখে পাখির ডানায় ভর করে উড়ে বেড়াচ্ছিলেন…অপেক্ষায় ছিলেন নিজের জন্য একটা সুযোগের…কিন্তু হায় কথায় যে আছে অভাগা যে দিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়…তার কপালেও যে সুখ বেশি দিন সইল না…বলব একটা অনাকান্খিত কলন্কের বোঝা নিয়েই যেন অষ্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে আসতে হছে ঘরের ছেলেকে আপন ঘরে…যা এমহুর্তে কারোই কাম্য ছিলোনা…বলব স্বপ্ন ভঙ্গের জ্বালা নিয়ে না খেলেই ঘরে ফিরছেন আল আমিন…
al amin

…দেখা হলোনা বিশ্বকাপে আল আমিনের এমন উইকেট লাভের আনন্দ উল্লাস…

…কি যেন এক অজানা ধোঁয়াটে কারণে নিজ হাতে বলি দিয়ে এসেছেন…শোনা যাচ্ছে রাত্র করে ম্যানেজারকে জানান না দিয়ে হোটেলের বাইরে থেকে দলীয়  নিয়ম শৃঙ্খলা ভাঙ্গার কারণে তাকে ফেরত পাঠান হছে…আবার কেউ বলছেন সন্ধেহজনক গতি বিধির কারণে তাকে ফেরত পাঠানো হছে…খবর রটেছে আকসুর নজড়দাড়ীতে নাকি আল আমিন ছিলেন…তাদের সন্দেহের অভিযোগের তীড়ও ছিলো তার প্রতি…যানা যায় আল আমিন নাকি দলীয় নিয়ম ভেঙে পর পর দুদিন রাত করে বাহিরে গিয়েছেন এবং ফিরেছেন ও রাত করে…এখানে আমার কথা হল প্রথম দিন যাওয়ার পর নিশ্চয় টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়টা টের পেয়েছেন…তাহলে কেন তাকে সাবধান করা হলোনা?? আর যদি টিম ম্যাঞ্জম্যান্ট যদি না জেনেই থাকেন তা হলে উনাদের দায়িত্ব কি ??? কথা উঠবে আল আমিনের রুম সঙ্গীও কি টের পাননি যে রুমে আল আমিন নেই…যেনেই যদি থাকেন তাহলে ব্যাপারটা কি তিনি ম্যানেজারকে জানিয়েছেন??দলীয় ম্যানেজার সুজন বলেছেন আল আমিনের ব্যাপারটা তিনি যানতেন না এবং তাকে জানিয়ে রাত্রে হোটেল হতে বাইরে যায়নি আল আমিন…তিনি নাকি আকসুর কর্তাদের কাছে পরদিন সকালে ব্যাপারটা যেনেছেন…দলের সাথে এত লোকজন…অথচ কারোই যানা হলোনা রাত্র করে একজন ক্রিকেটার হোটেলের বাইরে!! ব্যাপারটা যেমন গ্রহনযোগ্য নয় তেমনি কর্তাদের দায়িত্ব অবহেলারই নমুনা ছাড়া কিছু নয়…আল আমিনের ঘটনাটা জটিল আকার ধারন করতে পারে আর দলের মাঝে মনোবলে ফাটল ধরাতে পারে উপলব্ধি করতে পেরেই যেন সময় না নিয়ে তাকে দেশে পাঠানোর তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় অষ্ট্রেলিয়াতে উপস্থিত বোর্ড প্রধান অন্য পরিচালকদের সাথে বৈঠকে বসে…ঘটনাটা যদিও ঘোলাটে…পরিস্কার হয়নি কিছুই…আসলে কি ঘটেছে তা হয়ত যানা যাবে সময়ে…তবে এটা বলতেই হয় প্রথম ম্যাচে বিশাল রানের ব্যাবধানে জয়ী হওয়া দলটার মনোবলে এ এক বড় আঘাত…তবে হ্যাঁ সত্যি যদি আল আমিন অপরাধী হয়ে থাকেন তাহলে তার শাস্তি অনিবার্য…কারন দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভাল…শুধু আল আমিনকে দোষ দিবনা বলব আমরা জানি না এবং আমাদের জানান দিয়ে সে ওকাজ করেনি এমনতর কথা বলে অবশ্যই টীম ম্যানেজমেন্ট তাদের দায়িত্ব অবহেলার দায় এড়াতে পারেনা…

al amin2

…কে জানত দলনায়ক মাশরাফির পাশে ওমন হাঁসিতে আবারও দাড়াবেন শফিউল…

…বিসিবির সাবেক পরিচালক খন্দকার জামিল উদ্দিন আজ টিভি টকশোতে ভালই বলেছেন আল আমিনের এব্যাপারটা নিয়ে…তিনি বলেন আকসুর সন্দেহের আর অভিযোগের তীড় যদি থেকেই থাকে তাহলে দেখা যেত আল আমিন সহ অনেককেই তারা হয়ত ডেকে কথা বলতেন…যা হতে পারত খেলোয়াড়দের জন্য একটা মানোসিক আঘাত…আর এমহুর্তের জয়ের স্বাধ পাওয়া দারুন ভাবে উজ্জিবিত বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের স্পিরিট-মনোবলে ভাঙ্গন ধরাতে পারত…তাই বলব বিসিবি সঠিক কাজটিই করেছে আল আমিনকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিন্ধান্ত নিয়ে…দলের স্বার্থে শৃন্খলা ভঙ্গের দিকে বোর্ডের কঠোর মনোভাব থাকাটাই উচিত…আল আমিনের হঠাৎ দেশে চলে যাওয়াটা হয়তবা ক্রিকেটারদের কিছুটা বিচলিত করবে তবে বলব বিকল্প হিসেবে শফিউলকে পেয়ে তারা আর পেছন ফেরে তাকাবেনা…ভাল করতে নিজেদের সেরাটাই উপহার দিয়ে খেলবে…তাই হোক…কোটি কোটি টাইগার ভক্তের মত আমিও চাই মাশরাফি-সাকিব-মুশফিক-তামিম বাহিনীর বাংলাদেশ দল ভাল খেলুক আর জয় ছিনিয়ে নিয়ে লাল-সবুজের পতাকাটা অনেক উচুতে তুলে ধরুক…

j1

…প্রাক্তন বিসিবি পরিচালক খন্দকার জামিল উদ্দিন…

একটা কথা এখানে না বলেই পারছিনা আর তাহলো ক্রিকেটারদের ভাল করেই বোঝা উচিত তাদের ভাল মন্দের মাঝে গোটা দেশের ভাবমূর্তি-সুনাম নিহিত…ক্রিকেটাররা ভাল খেলে জয় ছিনিয়ে আনলে যেমন লাল সবুজের পতাকা আকাশে উড়ে তেমনি তাদের খারাপ কোন ঘটনা গোটা জাতির সুনাম ক্ষুন্ন করে…এতে করে যেমন দলের মনবলে  চিড় ধরে ঠিক তেমনি জাতি হিসেবে আমরা হয়ে যাই কলঙ্কিত…

সব শেষে একটা কথা না বল্লেই নয় বরবারই বোর্ড প্রধান বলে এসেছেন শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই…অর্থাৎ জিরো টলারেন্স…নিয়েছেনও কঠিন কটি সিদ্ধান্ত…ওদিকে অষ্ট্রেলিয়ার যাবার প্রাক্কালে দলের ম্যানেজার সুজনও বলেছেন ডিসিপ্লিনের দিকটাতেই তার নজড় থাকবে বেশী…ভাল কথা…এখানে কথা এসে যায় তাইলে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে ডিসিপ্লিন রক্ষা করতে না পারা কর্তাদের ব্যার্থতা টাইগার বাহিনীর কোটি কোটি ক্রিকেট পাগল সমর্থকরা টলারেন্স করবে কেমন করে???…নিয়ম ভঙ্গ করলে সাজা ভোগের মাঝে দল থেকে বিদায় অথচ দায়িত্বহীনতার নমুনা রেখে নিয়ম রক্ষা না করার ব্যার্থতার দায় নিয়ে কর্তাদের বিদায় নেয়ার সময় যেন এখন এসেছে…আসা উচিত…
...লেখক সাইফুল মুন্না বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টাস এ্যাসোসিয়েশনের একজন সক্রিয় সদস্য...ক্রিকেট যেন মিশে আছে তার রক্তে...ক্রিকেট নিয়েই যেন তার যত আবেগ-ভালবাসা...এই প্রথম লিখলেন তিনি এ সাইটে...বাঁয়ের ছবিতে এর সদস্যের মাঝে সবার ডানে লেখক মুন্না...ডানে এর ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের সাবেক দলনায়ক লিপুর সাথে করমর্দন করছেন লেখক মুন্না...

…লেখক সাইফুল মুন্না বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টাস এ্যাসোসিয়েশনের(BcsA) একজন সক্রিয় সদস্য…ক্রিকেট যেন মিশে আছে তার রক্তে…ক্রিকেট নিয়েই যেন তার যত আবেগ-ভালবাসা…এই প্রথম লিখলেন তিনি এ সাইটে…বাঁয়ের ছবিতে এর সদস্যের মাঝে সবার ডানে লেখক মুন্না…ডানে BcsA এর ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের সাবেক দলনায়ক লিপুর সাথে করমর্দন করছেন লেখক মুন্না…

No comments.

Leave a Reply