…শচীনের হাত ধরেই ”লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ” এর পথ চলা শুরু…
সেখানে নওয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাচ্চাদের সাথে স্যানিটেশন নিয়ে কথা বলেন।বাচ্চাদের হাত ধোয়াশেখান।এর পূর্বে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে তিনি তার সফর সূচী শুরু করেন।একটি বন্ধুত্বপূর্ন ক্রিকেট ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও সময় সল্পতার কারনে তা সম্ভব হয়নি।রুপগঞ্জে শচীন সময় কাটান মাত্র মিনিট তিরিশ হবে।তবে এই সল্প সময়ের মাঝেও শচীন তার স্বভাবসুলভ বন্ধুত্বপূর্ন ব্যবহার আর মিষ্টি কথায় মন জয় করে নেন হাজারও মানুষের।
” বাংলাদেশ আমার কাছে সব সময় স্পেশাল ” একথা বলতেই যেন তুমুল করতালিতে ফেটে পড়েন উপস্থিত দর্শককূল।শচীনকে এক নজর দেখতে এই সময় স্কুল প্রাঙ্গনে যেন নানা বয়সী হাজারও মানুষের ঢল নামে।
এদিন শচীনের সফর সূচী অনুযায়ী সোনার গাঁ হোটেলের বল রুমে ৩ টায় ক্লাবের লোগো-জার্সী উন্মোচনের কথা ছিলো।এই আয়জন কে ঘিরে এসময় সোনার গাঁ হোটেলের বল রুমে যেনো তারকাদের মিলন মেলা।দলের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান,জুনায়েদ সিদ্দিকী,ডিকেন্স,রুবেল,নাজমুল,জহিরুল ইসলাম অমি আর শামীম কবির,রকিবুল হাসান,পাইলট,সানোয়াড়,আতহার আলী,নাসু সহ এক ঝাঁক সাবেক ক্রিকেটার এবং গায়ক শুভ্রদেব, রাজনীতিবিদ মোসাদ্দেক ফালু, বিসিবির সাজ্জেদুল আলম ববি,ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম, মিডিয়া কর্মী সহ দেশের গনমান্য ব্যক্তি কে নেই তালিকায়?অনুষ্ঠানস্থল তখন যেন রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন “তিল ঠাঁই আর নাহিরে “।
ঘড়ির কাঁটা প্রায় ৪ টা ছুঁই ছুঁই তবু রেকর্ডের বরপুত্রের দেখা নেই।সবার চোখে মুখে তখন যেন কবি নির্মলেন্দু গুনের কবিতার লাইন খেলা করছে “একটি কবিতা পড়া হবে তার জন্য কি ব্যাকুল প্রতীক্ষা মানুষের।কখন আসবে কবি” ? রুপক অর্থে এখানে কবিতা মানে ” লোগো উন্মোচন ” আর কবি স্বয়ং টেন্ডুলকার ।অবশেষে ৪ টা বাজতেই আইসিসির প্রেসিডেন্ট মুস্তফা কামাল এবং লুৎফর রহমান বাদল সহ লাল গালিচা পেরিয়ে শচীনের আগমন।মুহুর্তেই যেন আবেগের বিস্মোরন ঘটল।এতো দিন টিভির পর্দায় যার খেলা দেখে মুদ্ধ হয়েছে সবাই সেই জল জ্যান্ত মানুষটি আজ চোখের সামনে? এতো কাছে? একি স্বপ্ন নাকি কল্পনা..
উপস্থাপিকা মুনমনের কন্ঠে শচীনের নাম উচ্চারিত হবার সাথে সাথেই উপস্থিত দর্শকদের চিত্তে চাঞ্চল্য দেখা দিলো, আর চারদিকে মিডিয়া কর্মীদের ক্যামেরার শাটার চাপার ক্লিক ক্লিক শব্দ।তুমুল করতালীর ভিতর শচীন আসন গ্রহন করতেই দর্শকদের ভীড় জমে গেলো।নিরপত্তার দায়িত্বে থাকা মানুষ গুলো অগ্নি চোখে তাকিয়ে সবাই কে বুঝিয়ে দিলো ” বাপু হে! নিরাপত্তার জন্য শচীনের ধারেকাছেও এসোনা “।অটোগ্রাফ শিকারী এবং ফটোগ্রাফারদের হা-পিত্যেশটা স্পটই বোঝা যাচ্ছিলো।শচীনের সাথে একেই সাথে আসন গ্রহন করলেন ক্রীড়া মন্ত্রী বিরেন শিকদার,সাকিব আল হাসান, লুৎফর রহমান, মোসাদ্দেক ফালু সহ আরো কয়েক জন।
সময়ের সেরা উপস্থাপিকা মুনমুনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান শুরু হলো।বড় পর্দায় দেখানো হলো ” লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের ” পুরানো ভার্সন গাজী ট্যাংকের সাফল্য গাঁথা।এর পরেই শচীনের ক্যারিয়ারের উপর ছোট খাট একটা ভিডিও ।অত:পর লুৎফর রহমান তার বক্তব্যে ক্লাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেন ।মাঝখানে আলোক রশ্মির প্রদর্শনীও হলো।কিন্তু লিটল মাস্টারের তারকা দ্যুতির কাছে যে এই সব আলোক ছটা ম্লান। লোগো উন্মোচন করতে মঞ্চে উঠলেন শচীন।ক্লাবের খেলোয়াড়রা একে একে তার সাথে পরিচিত হলেন।এরপরেই আতশবাজি আর নানা প্রকার আলো রশ্মির ঝলকানিতে ক্লাবের লোগো ও জার্সির উন্মোচন করলেন শচীন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শুরুতেই ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় বললেন ” আমি ভালো আছি, আপনারা ভালো আছেন “? এরপর বললেন ” এদেশে সাকিব-তামিমদের মতো দারুন খেলোয়াড় জন্মেছে, ভবিষ্যতে তাদের মত আরো অনেক ভালো খেলোয়াড় জন্মাবে “।
অনুষ্ঠানে এসে ছিলেন ৪ টায়।বক্তব্য শেষে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন ৪টা ৪৭ মিনিটে।এই ৪৭ টা মিনিট চোখের পলকে কিভাবে যে উধাও হয়ে গেলো কেউ টের পায়নি।ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠ সন্তান টি যে মন্ত্রমুদ্ধের মত মুদ্ধ করে রেখে ছিলেন সবাই কে।কি বলা যায় একে? শচীন ক্রেজ ?
শচীন বিদায় নিয়ে চলে যাবার পর ও অনেকে নিজের আসনে বসে ছিলেন।তার বক্তব্যের রেশ যেন কাটছিলোই না, শচীন জ্বরে এমনি আক্রান্ত সবাই।ক্রিকেট মাঠের সেরা খেলোয়াড়টি অনুষ্ঠান স্থলের সবাই কে মাতিয়ে দিয়ে গেলেন।আসলে মাতিয়ে দিয়ে গেলেন পুরো বাংলাদেশ কেই। সাধে কি আর তার বিদায় বেলায় বলা হয়ে ছিলো ” লিজেন্ডরা মাঠ থেকে অবসর নিলেও, কখনেই মানুষের মন থেকে অবসর নেয় না “।
Adnan Rishat
Oct 15. 2014
Shundor Lekha taa. DIBA da. Pic gular mullo onek onek beshi.
Saleque Sufi
Oct 15. 2014
Good to see many of sports Icons in the launching ceremony of Logo of Legends of Roopganj by the Living legend of Cricket SR Tendulkar . Thanks for sharing Kiron.
admin
Oct 15. 2014
…Diba sunddor likhecho..tnx ditei hoy…
Bapi
Oct 15. 2014
Oh…! Nice writing boss