…নিবেদিত প্রান সংগঠক খন্দকার জামিল উদ্দিনের সাথে কিছুটা সময় ও সখের ব্যাংক নোট-কয়েন সংগ্রহ…

…টেন্ডুলকার-রাহুল দ্রাবিড় ও ওয়াসিম আকরামের সাথে খন্দকার জামিল উদ্দিন…

…খন্দকার জামিল উদ্দিন..নিবেদিত প্রান এক ক্রীড়া সংগঠকের নাম..যার অনেক নাম ডাক শুনেছি..টিভিতে খেলাধূলার টকশোতে শোনা হয়েছে তার নানা গঠনমূলক কথাবার্তা..ভাল না লেগে পারেনি..বিসিবির পরিচালক ছিলেন..হকি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদকও ছিলেন..নিঃস্বার্থ ভাবেই নিজেকে বিলিয়ে যেন খেলাধূলার সেবা করে গেছেন..জামিল ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় ছিলোনা..কথা বলা ও দেখাও হয়নি কখনো..মাত্র কিছুদিন হলো ফেসবুকে পরিচয় আর ম্যাসেজ আদান প্রদান..যতই দিন গেছে তার মার্জিত-অমায়িক ব্যাবহার আমাকে যেন মুগ্ধ করে দারুন ভাবে..এইত কদিন আগে টিভি ”চ্যানেল ২৪”এ আমার খেলাধূলার ছবি কালেকশন নিয়ে প্রোগামটা দেখে তিনি প্রেরনামূলক এক ম্যাসেজ দিলেন..খুশি না হয়ে পারিনি..আমি উনাকে আমার ভিন্ন দুই সখ নিয়ে কিছুদিন আগে ”মানবকন্ঠ” ও ”কালেরকন্ঠে” প্রকাশিত প্রতিবেন পাঠিয়েছিলাম..অবাকই হলাম তার রিপ্লাই ম্যাসেজ পেয়ে..লিখলেন কিরন ভাই আমার সংগ্রহে কিছু ব্যাংক নোট আর কয়েন আছে আপনাকে দিতে চাই যদি আপত্তি না থাকে..কি যে খুশি লাগছিলো বোঝাতে পারবনা..বল্লাম আপত্তি কেন থাকবে আপনার কাছ থেকে গিফট পেলেতো ধন্য হব..যা আমার কালেকশনকে সমৃদ্ধ করবে..

…ব্যাংক নোটে মগ্ন জামিল ভাই…আর সাজানো অটোগ্রাফ সম্বলিত কিকেট ব্যাট…

..জামিল ভাই সময় দিলেন দেখা করার..কালই যাবার কথা ছিলো..তবে ব্যাস্থ থাকায় জানালেন প্লিজ কাল বিকেলে আসেন ব্যাংক নোট-কয়েনও দিব আর জমিয়ে আড্ডাও দেয়া হবে..আজই গেলাম..এই প্রথম মুখোমুখি দেখা..ক্রিকেট নিয়েই কথা হলো..বল্লেন অনেক কিছুই..কাছ থেকে জামিল ভাইকে দেখে,তার কথা শুনে বুঝতে দেরী হয়নি ক্রিকেট তার মনের গভীরে কতটা পাঁকা আসন করে নিয়েছে..ভাল না লেগে পারেনি..বেশী করে মুগ্ধ করেছে তার ভদ্র ও অমায়িক ব্যাবহার..জামিল ভাই প্রতিষ্টিত ব্যাবসায়ী-শিল্পপতি আর বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক..আর আমিতো এক অতি সাধারনজন..যার সাথে কিনা এর আগে কখনো দেখাও হয়নি..অথচ আমার প্রতি উনার সম্মানবোধ দেখে অবাক না হয়ে পারিনি..গুলশান শান্তা টাওয়ারে ঢুকতেই নীচে যখন জানতে চাইলাম জামিল ভাই আছেন কিনা পাল্টা জানতে চাইলো আপনার নাম কি কিরন,বল্লাম হেঁ..বলা মাত্রই বল্লো চলেন আপনাকে উপরে দিয়ে আসি..

…কটি চ্যানেলের টিভি টকশোর কটি মহুর্তে জামিল ভাই…

..রিসিপশনে বসতে না বসতেই একজন এসে জানতে চাইলো কিরন নামে কেউ এসেছে কিনা..পরিচয় দিতেই বল্লো স্যার আপনাকে উনার রুমে বসতে বলেছে..বুঝতে বাকি রইলো না অফিসে নেই বিধায় আগে খেকেই সবাইকে বলে রেখেছিলেন..এসময় উপস্থিত জামিল ভাইয়েরই এক ছাত্র জীবনের বন্ধু যাত্রাবাড়ি ক্রিকেট দলের সংগঠক জামান ভাই..তার সাথে মজা করেই আড্ডা দেয়া হচ্ছিলো.. কিছু পরেই এলেন জামিল ভাই..হাত মিলিয়েই শুরু করলেন আলাপ..শোনা হলো অনেক..যানা হলো বেশকিছু অজানা কথা..আলাপের ফাঁকেই স্যরি বলে শেষ করছিলেন কিছু অফিসিয়াল কাজ..অফিসতো নয় যেন ছোটখাট একটা ক্রিকেট মিউজিয়াম..ক্রিকেটের অনেক দুর্লভ আইটেম দিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন..শোভা পাচ্ছে বেশ কিছু ট্যুরের ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ সম্বলিত ব্যাট..পতাকা-ক্রেষ্ট ও নানা স্মরনিকা..

…জামিল ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া নানা দেশের টাকা ও কয়েন গুলো…

…আলাপের মাঝেও জামিল ভাই ভুলে যাননি আমাকে যে ব্যাংক নোট-কয়েন দেবার কথা..একটা সময় সময় বের করে দিলেন আমাকে বেশ কিছু দুর্লভ নোট আর কয়েন..কি যে খুশি হলাম বোঝাতে পারবনা..এই প্রথম কেউ ডেকে নিয়ে দিলো বলে হয়তবা খুশির মাত্রাটা ছিলো বেশী রকম..কালেকশনের এই গিফট পাব সত্যি ভাবিনি..আর কল্পনাও করিনি যাবার সময়টায় রুম হতে বেরিয়ে গিয়ে বিদায় দেবেন..বল্লেন কিরন ভাই কথা বলে অনেক ভাল লাগলো..কাছেই যখন অফিস সময় করে আসবেন..বিনয়ী মানুষটার ব্যাবহার আর আতিথিয়তায় মুগ্ধ না হয়ে পারিনি..পরিচয়ে বোঝা হলো কেন ক্রীড়াঙ্গনে জামিল ভাই অনেকেরই প্রিয় ব্যাক্তিত্ব..তবে এটা বোঝা হয়নি অমন নিবেদিত প্রান সংগঠকের কেন ঠাই নেই ক্রিকেট বোর্ডে..

No comments.

Leave a Reply