…প্রানের স্পন্দন ফিরে পাচ্ছে আমাদের ফুটবল…মামুনুলের গোলে এশিয়াডে ধরাশায়ী আফগান…

…ম্যাচ জয়ের নায়ক মামুনুলের দূর পাল্লার অসাধারন শর্টের গোলের কটি মহুর্ত…

…অবশেষে জেগে উঠেছে যেন আমাদের ফুটবল..প্রানের স্পন্দন ফিরে পাচ্ছে একটু একটু করে..আলোর পথ দেখাচ্ছে মামুনুলদের হাত ধরে ফুটবল..ঝিমিয়ে পড়া ফুটবল যেন আবার মনে দাগ কাটতে শুরু করল..এমনটাইত চাওয়া অনেকদিনের..এইত কিছু দিন আগে দুর্দান্ত খেলে ভারতের আইএফ শীল্ডে রার্নাস আপ হয়ে ফিরেছিলো শেখ জামাল দল..রেফারীর পক্ষপাত বাঁশী চ্যাম্পিয়নের পথটাই আটকে দেয় বল্লে ভুল বলা হবেনা..এরপর জাতীয় দলটাও কলকাতায় ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে প্রশংসনীয় ফুটবল উপহার দিয়ে মন কাড়ে সবার..এখেলাতেও সেই বাঁশী ওয়ালার অযোগ্যতায় যেন জয়টা পায়নি বাংলাদেশ দল..এর মাঝে শেখ রাসেল প্রথম বারের মত ক্লাব চ্যাম্পিয়নশীপে ২য় রাউন্ডে উঠে তাক লাগায়..আর অতি সম্প্রতি নেপালকে হারায় মামুনুলের দল..আর সিলেটে উপচে পড়া দর্শক সমাগম ফুটবলকে আবারও যেন চাঙ্গা করে তুলেছে..এসবের রেশ না কাটতেই দঃ কোরিয়ার ইনচেন এশিয়ান গেমস ফুটবলে মামুনুলের দল মন কাড়া খেলা উপহার দিয়ে ১-০ গোলে শক্তিশালী আফগানিস্তানকে হারিয়ে যেমন চমক দেখালো তেমনি মাতিয়ে রাখলো সবাইকে..ক্রিকেটের টানা ভরাডুবির মাঝে ফুটবলের এজয় খেলা পাগল সবাইকে যে খুশির জোয়াড়ে ভাসিয়ে দেয় তা বলতেই হয়..

…আফগানের সাথে জয়ের নায়ক মামুনুলের দূর পাল্লার অসাধারন শর্টের গোলের পর কোচ ও খেলোয়াড়দের নিয়ে আনন্দ উল্লাস…

…শেষবার দু দশকেরও আগে ১৯৮৬-র সিউল এশিয়াডে আসলামের গোলে বাংলাদেশ হারিয়েছিলো নেপালকে…আর এবার মামুনুল জয় এনে দিলেন আফগানের বিরুদ্ধে..পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে মামুনুলের আচমকা বিদুৎ গতির শর্ট যে ভাবে আফগান কিপারকে বোঁকা বানিয়ে জ্বালে জড়ায় তা ছিলো যেন দেখবার মত..বেচারা আফগান কিপারের যায়গায় দাড়িয়ে বল জ্বালে জড়ানো দেখা ছাড়া করার কিছুই ছিলোনা..অসাধারন গোল..স্মরনীয় জয়..সাবাস বাংলাদেশ..আর আলাদা ভাবে সাবাস জানাতেই হয় মামুনুলগংকে ফুটবলটাকে নুতন করে জাগিয়ে তোলার জন্য..

…১৯৮৬-র সিউল এশিয়াডে নেপালের গোলমুখে জয়ের নায়ক গোলদাতা আসলাম…

এমহুর্তের দেশ সেরা জনপ্রিয় তারকা ফুটবলার বাংলাদেশের দলনায়ক মামুনুল ইসলাম কদিন আগে ইন্ডিয়ান সুপার লীগে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ক্রিকেট তারকা সৌরভ গাঙ্গুলীর দল এ্যথলেটিকো দ্য কলকাতার সাথে..যা আমাদের ফুটবলে নুতন মাত্রা যোগ করল বলতেই হয়..একটা সময় কলকাতা ফুটবল মাতিয়ে মন কেড়েছিলেন আমাদের ফুটবলের গর্ব গ্রেট মুন্না-ইষ্টবেঙ্গলের হয়ে চমক লাগানো খেলা উপহার দিয়ে লীগের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন মুন্না..পাশাপাশি আরো যারা খেলে মাঠ মাতান তারা হলেন শাব্বীর-আসলাম-কায়সার হামিদ-কানন-রেহান-জুয়েল রানা-সালাউদ্দিন-মানিক-পনির-রক্সি-গাউস-

..একটা সময় ঢাকা ষ্টেডিয়ামের গ্যালারী দর্শক ভরা থাকত তা শুধু নয় আশ পাশের বিল্ডিং গুলোও ভরা থাকত দর্শক..

…সাকিবের আইপিএল ক্রিকেট ম্যাচ দেখার জন্য যেমন করে সবাই টিভি পর্দার সামনে বসে থাকতেন আশাকরা যায় গ্রেট ফুটবলার মামুনুলের ইন্ডিয়ান সুপার লীগের খেলা দেখার জন্য সবাই আগ্রহ নিয়ে সেই কাজটাই করবেন..অতি সাম্প্রতি ফুটবলের সাফল্য গুলো যে ফুটবলকে আবারও জাগিয়ে তুলেছে,আকর্ষন বাড়িয়েছে,জোয়ার এনে দিয়েছে তা বলতেই হয়..বাফুফের কর্তাদের এখন যেন আরো সজাগ না হয়ে উপায় নেই..ঘন ঘন আন্তঃর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন..বিদেশী দলের সাথে বেশী করে ম্যাচ খেলার আয়োজন ফুটবলকে যে আবারও জনপ্রিয় ও আকর্ষনীয় করে তুলবে এবং দর্শকদের আবারও ষ্টেডিয়াম মুখো করে তুলবে তা না বল্লেই নয়..পাশাপাশি নজড় দিতে হবে বেশী করে জেলায় জেলায় যেন ফুটবলটা নিয়মিত হয় আর কিশোর ফুটবলারদের নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা..তবেই হয়তবা ফুটবল তার স্বর্নালী দিনে ফিরবে..

No comments.

Leave a Reply