…খুজে পাওয়া তিন দশক আগের স্মৃতির পাঁতায় ক্রিকেটার লিপু…

…গত পরশু দিন গিয়েছিলাম এক সময়ের অন্যতম দেশ সেরা তারকা ব্যাটসম্যান,বাংলাদেশ দলের প্রাক্তন দলনায়ক,আইসিসি ট্রফি জয়ী দলের সফল ম্যানেজার,প্রাক্তন বোর্ড পরিচালক ও রাষ্টীয় পুরস্কার প্রাপ্ত আমার খুব প্রিয় ক্রিকেট ব্যাক্তিত্ব লিপু ভাইয়ের বাসায়…গোড়া থেকেই লিপু ভাই ছিলেন আমার একার নয় বলব অনেকেরই ভাল লাগার প্রিয় ব্যাটসম্যান…লিপু ভাইয়ের সাথে আমার সখ্যতা আশি দশক থেকেই…

সেদিন লিপু ভাবী অবাক করার মতই একটা জিনিষ আমাকে দেখালো…দেখে কি যে ভাল লাগলো…আমারতো মনেই ছিলোনা ব্যাপারটা…মনে থাকার কথাও নয়…আজ হতে ঠিক ৩০ বছর আগের কথা…প্রিয় ক্রিকেটার লিপু ভাইয়ের পত্রিকার পাঁতায় ছাপানো খেলার ছবি জমিয়ে একটা এ্যালবাম এর মত করে লিপু ভাইকে গিফট করেছিলাম…যা এতদিন যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন ভাবী…ওটাই দেখালেন ভাবী…অবাকই হলাম…যানাই ছিলোনা ওমন একটা জিনিষ দিয়েছিলাম লিপু ভাইকে…

মনে পড়ে আশি দশকে খেলাধূলার রিপোটিংএ নুতন একটা ধারা শুরু করেছিলেন সে সময়ের আজকের কাগজের ক্রীড়া সাংবাদিক বন্ধু ফরহাদ টিটো…অল্প দিনেই বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন টিটো তা না বল্লেই নয়…আমার মত টিটোর ও যেন প্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন লিপু ভাই…মনে আছে ১৯৯৩ সালের বই মেলায় ক্রীড়া লেখক সমিতি একটা ষ্টল দিয়েছিলো…একদিন বিশেষ অতিথি হয়ে সমিতির ষ্টলে এসছিলেন সেই প্রিয় ক্রিকেটার লিপু ভাই ভাবী সহ…তারই এক ফাঁকে দুজনার সাথে ছবি তুলে ছিলেন টিটো…সেই ছবি আবার গিফটও করেছিলেন লিপু ভাইকে…ছবির উল্টো পিঠে লিখেছিলেন ”লিপু ভাই ও ভাবীকে শুভেচ্ছা সহ”…সেই দুর্লভ ছবিটা ও কালেক্ট করা হলো…আজ হতে কুড়ি বছর আগের সেই ছবি দেখে টিটোর ভাল না লেগে পারবে না…তাই তুলে ধরলাম ছবিটা…

…সুযোগ্য দলনায়ক লিপু ভাইয়ের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলো ১৯৮৫ সালে শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ আসরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে…ঢাকা আবাহনীর অন্যতম সফল দলনায়কও ছিলেন তিনি…লিপুর নেতৃত্বেই বলা যায় আবাহনী অনেক চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয় করে নেয়…খেলোয়াড়ী জীবনে বলতে হয় একাধিক ম্যাচ একাই লড়ে দলকে জয়ের স্বাধ এনেদিয়েছেন…আর তাই পেয়েছেন একাধিক বার ম্যাচ সেরা ও টুর্নামেন্ট সেরা খোলোয়াড়ের পুরস্কার…লাভ করেছেন ক্রীড়া ক্ষেত্রে সর্বোচ রাষ্টীয় পুরস্কারও…

এছাড়া লিপু জাতীয় ক্রিকেটেও একাধিকবার নিয়েছেন চ্যাম্পিয়নের স্বাধ…তার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ও হয়েছে দেশ সেরা দল…আর তাই ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয ব্লু প্রদান করেও লিপুকে সম্মানিত করা হয়…পেয়েছেন ক্রীড়া লেখক সমিতি ও ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও…সেঞ্চুরীও হাকিয়েছেন লিপু অনেক কটি…একবার ১৯৮৭ মরসুমে আবাহনীর হয়ে লীগের এক মরসুমে সবোর্চ রানের রের্কডও গড়েছেন…১৯ ম্যাচেই সংগ্রহ করেছিলেন ১০০৮ রান…যার মাঝে ছিলো এক শতক ও দশ হাফ সেঞ্চুরী…

No comments.

Leave a Reply