…ফুটবলে মোহামেডানের এক সময়ের ত্রাস উইঙ্গার গাফ্ফার-কোহিনুর জুটি…
…একটা সময় ছিলো ফুটবলে ঢাকা মোহামেডানের আক্রমন ভাগের দুই উইঙ্গের ত্রাস ছিলো গাফ্ফার ও কোহিনুর…ক্ষিপ্র গতিতে বল নিয়ে ছুটে বিপক্ষের রক্ষনভাগ ভেঙ্গে চ‚ড়ে দিশেহাড়া করে তুলতেন…গোলের উৎস তৈরী করত এদুজন দক্ষতা আর নিপূনতার সাথেই…পাশাপাশি গোলও করেছেন অনেকবার…বলতে হয় মোহামেডানের অনেক জয়ের মূল নায়কও ছিলেন এদুজন…
…আজ প্রায় আড়াই দশকেরও বেশী সময় পর সেই জুটি গাফ্ফার ও কোহিনুরকে পেলাম এক সাথেই ঢাকা ষ্টেডিয়ামে…ভিআইপি গ্যালারীতে বসে খেলা দেখছিলেন এদুজন…বিশেষ করে বহু বছর পর কোহিনুরকে দেখা আর সেই জুটিকে এক সাথে পাওয়ার মহুর্তটা ক্যামেরায় বন্দি করে রাখার কারনেই ছুঠে গিয়েছিলাম ষ্টেডিয়ামে…আজও সেই আগের মতই হাসি খুশি রসিক যেন আছেন কোহিনুর…ফিগারও ধরে রেখেছেন সেই আগের মতই …চেহারায় যা একটু বয়সের ছাপ পড়েছে……কোহিনুর ও গাফ্ফার দুজনেই খেলা ছাড়ার পর একটা সময় স্থায়ী ভাবে বসবাস করতেন যুক্তরাষ্ট্রে…যদিও গাফ্ফার ফিরে এসে ঢাকাতেই আছেন…যুক্ত রয়েছেন শেখ জামালের সাথে…তবে কোহিনুরের স্থায়ী নিবাস আজও যুক্তরাষ্ট্র…কদিন আগে দেশে এসেছেন বেড়াতে…
…ঢাকা মাঠে প্রথম বিভাগ ফুটবল খেলা শুরু করেছিলেন রাইট উইঙ্গার কোহিনুর সেই ১৯৭৬ সালে লীগের নবাগত দল শান্তিনগর ক্লাবের হয়ে…এর পরের বছরই যোগ দিয়েছিলেন ওয়াপদায়…বলতে হয় অল্প দিনেই লাইম লাইটে চলে আসেন কোহিনুর…দুবছর ওয়াপদায় খেলেই ১৯৭৯তে খেলার সুযোগ পেয়ে যান দেশ সেরা মোহামেডান ক্লাবে…তারপর শুরু তার এগিয়ে যাবার পালা…কোহিনুর ১৯৮০ ও ১৯৮২ তে দুবার মোহামেডানের চ্যাম্পিয়নের পেছনেও ভুমিকা রেখেছেন…এছাড়া ’৮২তে ভারতের আশীষ জব্বার ট্রফির ফাইনালেও গোল করে মোহামেডানকে চ্যাম্পিয়ন হতে ভুমিকা রেখেছিলেন…রাইট উইঙ্গার কোহিনুর মোহামেডানের হয়ে নেপাল-মালয়েশিয়া-ভারত-ইন্দোনেশিয়ায় খেলেছেন…
…ছয়টি বছর মোহামেডানে খেলার পর কোহিনুর ১৯৮৫তে যোগ দেন ওয়ার্ন্ডারস ক্লাবে…শেষ দিকে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েন কোহিনুর…আর তাই মোহামেডান ছেড়ে যেতে বাধ্য হন…এর মাঝে কোহিনুর ১৯৮১ ও ১৯৮২ তে দুবার খেলেছেন লাল-সবুজ জাতীয় দলের হয়ে ঢাকার প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপে…১৯৮১তে পাকিস্তান কায়দে আযম ট্রফি ও ১৯৮২তে দিল্লী এশিয়ান গেমসের মূল বাংলাদেশ দলেও ঠাই করে নিয়েছিলেন…
…ফাঁকা গ্যালারী আর আজকের ভুলে ভরা খেলার মানের যে ধরন তা দেখে খানিক বাদে বাদেই কোহিনুরের কন্ঠে শুধু ধূর-শিটই শুনছিলাম…চেহারাতেও ফুটে উঠছিলো হতাশা…হবারই কথা…হয়ত ভাবছিলেন কি দেখতে এলাম আর কি দেখছি…কি ছিলো মান আর এখন কি হলো…কোথায় ছিলো মাঠ ভরা দর্শক আর এখন ফাঁকা মাঠের এলো মেলো খেলা দেখে যেন মনে হচ্ছে দুটি দলের অনুশীলন …
md. t islam tarique
Apr 19. 2014
কার খেলাতে সেটা মনে নাই শুধু এটুকু মনে আছে কহিনুর একবার কর্নার ফ্লাগের স্ট্যান্ড নিয়ে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় কে তাড়া করেছিলেন । আজ সেটা শুধুই সৃতি । দুর্ভাগ্য উনার সাথে দেখা করার সৌভাগ্য হলো না । ধন্যবাদ কিরন ভাই পুরনো সৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য ।