…ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে অবৈধ স্থাপনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড়…

…ধানমন্ডি ক্লাব মাঠ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড়…কোন এক সময় এ মাঠেই শিশু কিশোর নানা বয়সের মানুষ ক্রিকেটের ব্যাট বল আর ফুটবল নিয়ে মেতে থাকত…এ মাঠেই অনুষ্টিত হত ঢাকার দ্বিতীয় বিভাগ ও নির্মান স্কুল ক্রিকেট আসর…হত বেশ কটি ক্লাবের অনুশীলন..আজকের ক্রিকেট ও ফুটবলের অনেক প্রতিষ্টিত খেলোয়াড়েরই এ মাঠ হতেই উঠে আসা…তাই ধানমন্ডি মাঠটির প্রতি অনেকেরই একটা আত্মীক সম্পর্ক রয়েছে..আছে অন্যরকম মায়ার টান..আমারও ঢাকা ক্রিকেট লীগের প্রথম ম্যাচ খেলা হযেছিলো এই ধনিমন্ডি মাঠটিতেই..উদিতি ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ খেলার কারনে এ মাঠেই অনুশীলনের সুযোগও হয় আমার..সে সময় আজকের প্রধান নির্বাচক ফারুক ছিলেন উদিতির উঠতি প্রতিভা…

…সময়ের পরিক্রমায় অনেক কিছুই বদলে যায়..যেমন বদলে গেছে ক্লাবের নাম ও মাঠের চেহারা..আজ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব হিসেবেই পরিচিত..মাটঠিও যেন চলে গেছে অনেকটা ক্লাবটির দখলে..সুযোগও নষ্ট করে দেয়া হয়েছে এলাকার শিশু কিশোরদের খেলা নিয়ে মেতে থাকার..এরই মাঝে চোঁখে পড়েছে মাঠটির মাঝখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের..ঢাকা শহড়  এমনিতেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে দিন দিন..খেলাধুলার মাঠ আজ যেন এক দুর্লভ জিনিস হয়ে উঠেছে..সেখানে শিশু-কিশোর নানা বয়সের মানুষের মন খুলে খেলাধুলায় মেতে থাকার সুযোগও কেড়ে নেয়াটা সত্যি দুঃখজনক..

ব্যাপারটা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে..২০১৩ সালে হাই কোর্ট একটা রুলও জাড়ি করেছিলো অবৈধ স্থাপনার কাজ স্থগিত করার ও সবার খেলার জন্য মাঠ উম্মুক্ত করে দেবার..কে শোনে কার কথা..স্থাপনা নির্মানের কাজ চলছেই..তাইত খেলা পাগল শিশু কিশোর এলাকাবাসী ও নানা সংগঠনের মাঝে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে..তাই আজ ধানমন্ডি মাঠের সামনেই দ্বিতীয় বারের মত মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন নিয়ে মেতে ছিলেন সবাই..নানা টিভি চ্যানেল গুলোতেও যার তথ্য চিত্র তুলে ধরা হয়..প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত সবার বুকেই একটা প্লেকার্ড ঝুলছিলো..যেখানে লেখা ”ধানমন্ডি খেলার মাঠ রক্ষা কর..দখলদারদের উচ্ছেদ কর”..সবার জোড়ালো বক্তব্যেও ছিলো একই সূর..আদালতের রায় মেনে নিয়ে মাঠটিকে সবার খেলার জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হউক অচিরেই..তাই যেন হয় খেলার স্বার্থেই..

…ধানমন্ডি মাঠটি সবার খেলার জন্য উম্মুক্ত করে দেয়ার জোড় দাবীতে এই প্রতিবাদ ও মানব বন্ধন অনুষ্টানে ”দেশ বাচাঁও আন্দোলন-বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতি”সহ আরো কটি সংগঠন,বেশ কজন ক্রীড়া সংগঠক,জাতীয় দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা-আশরাফুল-জাভেদ ওমর গোল্লা-বিকাশ-মন্জু-আসাদজ্জামান মিশা-তানজিব আহসান সাদ ও জাতীয় দলের প্রাক্তন দলনায়ক গাজী আশরাফ লিপু এবং বিশিষ্ট টিভি ব্যাক্তিত্ব সংস্কৃতি কর্মী  হানিফ সংকতের উপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়……এদের অনেকে বক্তব্যও রাখেন..

…বলব খেলার স্বার্থেই এ ব্যাপারটার একটা সুন্দর সমাপ্তি হওয়া উচিত..আশাকরি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ খেলাধূলার বৃহত্তর মঙ্গলের কথা মাথায় রেখেই এ দিকটা নিয়ে ভাববেন..ভাবা উচিত..ধানমন্ডি মাঠটি মোটেও ছোট নয়..এ মাঠে এক সময়ত এক সাথেই দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ ও নির্মান স্কুলের দুটো করে খেলা অনুষ্টিত হত..আর তাই এক পাশে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের অনুশীলনের সুযোগ রেখেই আরেক পাশ সবার জন্য উম্মুক্ত করে দেয়াটা বরং খেলাধুলার মঙ্গলই বয়ে আনবে..তাই হলে ভাল..এলাকাবাসীর শিশু কিশোর নানা বয়সী মানুষের খেলা নিয়ে মেতে থাকার সুযোগ নষ্ট করে মাঠটি একক ভাবে কারো দখলে যাক এটা কারোরই কাম্য হতে পারেনা..

One Response to “…ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে অবৈধ স্থাপনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড়…”

  1. md. t islam tarique

    Apr 11. 2014

    ভাইরে মাঠ দিয়া আর কি হবে , বছর খানেক পর বাড়ির সব ছাদ জোড়া লাগিয়ে মাঠ বানিয়ে তাঁর পর খেলা হবে । কারা এই গুলা করে , আর যারা দায়িত্তে আছে তারাই বা বসে বসে কি করে ভেবে দেখা দরকার । বর্তমানে একটা মাঠের মাঝে ইমারত নির্মাণ হবে আর এইটা বাধা দেবার চেষ্টা চালানো হবে মানব বন্ধন করে ভাবতে ও অবাক লাগে । কিরন ভাই আপনার মতো সকল সচেতন সাংবাদিকরা যদি এই ভাবে লেখার ঝড় তুলতো নিশ্চয় কিছুটা হলেও দায়িত্তে থাকা লকজনদের টনক লড়তো । আপনার এই জনসচেতনা মুলক লেখার জন্য ধন্যবাদ ।

    Reply to this comment

Leave a Reply