..রের্কড গড়ার স্মরনীয় একটি দিন-ক্ষন-মহুর্ত..

…স্মরনীয় একটি দিন-ক্ষন-মহুর্ত আমরা পেলাম অনেকটা হঠাৎ করেই..যা থেকে গর্বে বুক ভরে গেছে সবার..না চাইতেই যেন পাওয়াটা হলো..মানুষ যা চায় তা পায়না..আবার যা চাওয়ার নয় তা পাওয়া হয়ে যায় এমনিতেই..তেমনি ভাবেই পাওয়া হলো শ্রীলন্কার বিরুদ্বে রানের পাহাড় গড়ার মাঝে অনেক গুলো অতুলোনীয় রের্কড..যা বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনেক বড় উচ্চতায়..

..লন্কায় বাংলাদেশ দলটা যায় দেশ সেরা সাকিব ছাড়াই..সাকিবের মতই দলে ঠাই পেয়েও আঘাতজনিত কারনে শেষ মহুর্তে ছিটকে পড়েন সেরা একাদশে খেলার মত তিন তারকা নাইম-নাফিস ও এনামুল..তাছাড়া আরেক বড় তারকা তামিম ও থাকলেন একাদশের বাইরে..তাই লন্কার মাঠে ভাল ভাবে দলটি লড়াই করতে পারবে কিনা এনিয়ে সন্দেহ ছিলো..তবে মাঠে ৫৭০ রান সামনে রেখে রের্কড গড়ার যে প্রশংসনীয় ব্যাটিং নেপুন্য প্রদর্শন করলো মুশফিক বাহিনী তা যেন ইতিহাস..এক কথায় অসাধারন ও অভাবনীয় নজীড়..অবশ্য এর মাঝেও একটি চাওয়া অপুরোনীয় থাকায় একটা হতাশাও থেকে যায়..এক সাথে এত গুলো রের্কডের স্মরনীয় মহুর্ত আবার কবে প্রান ভরে উপভোগ করা হবে কে জানে..

..লন্কানরা যখন ৪ উইকেটে ৫৭০ রানের বিশাল স্কোর দাড় করিয়ে হাসি মুখে ইনিংস ঘোষনা দেয় তখনতো রীতিমত ইনিংস পরাজয় ঠেকানো যাবে কিনা এমন একটা ভাবনায় ডুবে থাকতে হয়..অথচ নয়ন জুড়ানো যে ব্যাটিংটা করা হলো তা যেন দেখেও বিশ্বাস হচ্ছিলোনা..অসহাহের মত যা দেখে সাঙ্গাকারা বাহিনীও মুগ্দ্ব না হয়ে পারেনি..৫৭০ রানের যেন দাঁত ভাঙ্গা জবাব যেন দেয় বাংলাদেশ রের্কড গড়া ৬৩৮ রান তুলে..শুধু কি তাই..এল রের্কড সংখ্যক তিন তিনটি মনোমুগ¦কর ও চমকপ্রদ শতরান..এর মাঝে দলনায়ক মুশফিক অসাধারন ধর্ষ্যশীল ব্যাটিং উপহার দিয়ে তুলে নেন প্রথম ডবল সেঞ্চুরী..৩২১ বলের মোকাবেলায় ২২টি দর্শনীয় চার ও ১টি প্রচন্ড ছক্কার মার মেরে মুশফিক প্রথম ২০০ রানের রের্কডটি গড়েন..প্রথম দফায় বাদ পড়া আশরাফুল নিজেকে আবারও বড় উচ্চতায় তুলে ধরেন প্রশংসনীয় ১৯০ রান তোলার মাঝে..তবে তার আউটটি ছিলো সত্যি চরম হতাশার..একদিনেরও বেশী সময় নিয়ে ৪১৬ বলের রের্কড গড়া ধর্য্যশীল এক দীর্ঘ ইনিংস খেলার পর যে ভাবে বাজে একটা শর্ট খেলতে যেয়ে আশরাফুল নিজেকে নিজেই খুন করেছেন তা যেন কিছুতেই মেনে নেয়ার মত নয়..তৃতীয় দিনের সাড়াটা সময় চরম ধর্য্যরে সাথে ঠান্ডা মাথায় খেলে যাওয়া আশরাফুল ১৮৯রানে থাকলেন অপরাজিত..গোটা জাতির যেন তখন চাওয়া ছিলে আশরাফুল প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দেশের হয়ে টেষ্টে ডবল সেঞ্চুরীটি উপহার দিক..সেই আশরাফুল চর্তুথ দিনের শুরুতেই ১রান যোগ করে কেমন যেন নড়বড়ে হয়ে পড়েন..বাজে একটা শর্ট খেলতে যেয়ে ভাগ্যক্রমে আউট হওয়া থেকে বেঁচে যাওয়ার পরক্ষনেই আবারও বাজে ভাবে ব্যাট চালিয়ে নিজেতো বটেই সবাইকে হতাশায় ডুবিয়ে সাজ ঘরে ফেরত যান..উলেখ্য যে মুশফিক ও আশরাফুল জুটি টেষ্টে রের্কড পরিমান ২৬৭ রান তুলেছিলেন..

..আশরাফুল ও তরুন মোমিনুলের তৃতীয় উইকেট জুটির ১০৫ রানই বাংলাদেশকে বড় স্কোর দাড় করাতে শক্ত ভীত গড়ে দেয়..

..আশরাফুলের বিদায়ের পর মাঠে নেমেই চার হাকিয়ে দিনটা ভালই শুরু করেন নাসির এবং দারুনভাবে সাপোর্ট দিয়ে যান মুশফিককে..এই সুযোগে বড় ধর্য্যশীল ও দায়িত্বপুর্ন ব্যাটিংয়ের সুফলটা তুলে নেন দলনায়ক মুশফিক ২০০ রান তোলার মাঝে..যদিও আম্পায়ারের ভুলের কারনে তাকে সাজ ঘরে ফিরে যেতে হয়..এরপর নাসির দলের হালটাই শুধু ধরেননি এক একটি দৃষ্টিনন্দন শর্ট খেলে ১৫১ বলে ৯টি চারের মার মেরে টেষ্টে প্রথম শতরানের মুখও দেখেন..এর আগে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিরুদ্বে ঢাকা মাঠে দুদবার নব্বুইয়ের ঘরে আউট হয়ে হতাশায় ডুবে ছিলেন নাসির..তিন সেঞ্চুরীয়ানের মাঝে টেষ্টের অভিষেকেই তরুন সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান মোমিনুলের মুগ্দ্ব করা অর্ধশত রান (৮৩ বলে ৫৫রান) ছিলো সত্যি আলাদা ভাবে তুলে ধরার মত..৬৫ রানের মাথায় নবাগত আনামুল ১৩ ও জহিরুল ২০ রানে আউট হয়ে গেলে আশরাফুল ও মোমিনুল জুটির ১০৫ রান যেমন শক্ত ভীত গড়ে তেমনি দলকে বড় স্কোর গড়ার দিকে নিয়ে যায়..শেষমেষ বাংলাদেশ ১৯৬ ওভার খেলে টেষ্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক ৬৩৮ রান তুলতে সক্ষম হয়..প্রথম ইনিংসে দুদলের ছয়জন ব্যাটসম্যান শতরানের মুখ দেখেন..এটাও রের্কড হয়ে আছে..লন্কান সাঙ্গাকারা ১৪২-থ্রীমানে ১৫৫ আপঃ-চান্দিমাল অপঃ ১১৬ রান সংগ্রহ করেন..উল্লেখ্য যে এনিয়ে টেষ্টে আশরাফুল সর্বাধিক ৬টি ও মুশফিক ২টি শতরান হাঁকিয়েছেন….এখানে আরেকটা দিক বিশেষ ভাবে তুলে ধরতে হয় তা হলো আশরাফুল তার ১৯০ রান তোলার মাঝেই বাংলাদেশের হয়ে কোন টেষ্ট দলের বিরুদ্বে ১০০০রান করার রের্কডটিও গড়েন..

No comments.

Leave a Reply