মোহামেডানের স্বাধীনতাত্তোর ঢাকা লীগে ’৭৫ সালে প্রথম শিরোপা জয়
….ঢাকা মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব ঢাকার ফুটবলের যেমন ঐতিহ্যের ধারক বাহক তেমনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা একটি নাম..ফুটবলের ইতিহাস লিখতে গেলে মোহামেডান নামটি লেখা থাকবে সবার উপরে..একটা সময় ছিলো চ্যাম্পিয়ন ছাড়া বিকল্প কোন ভাবনা যেন ছিলোনা দলটির..বলা যায় লীগ শিরোপা জয়টা ছিলো স্বাভাবিক এক ঘটনা..সময় গড়ানোর সাথে দিনও বদলেছে..আজ সেই দলটির অস্তিত্ব টিকে রাখাই দায়..খেলায় যেন ঐতিহ্য ও ইতিহাসের ছায়া মাত্র..জার্সী দেখে চেনা যায় এই সেই মোহামেডান..
…মোহামেডান স্বাধীনতাত্তোর ঢাকা লীগে ’৭৫ সালে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় বলতে গেলে দলনায়ক জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে সেরা নৈপুন্য প্রদর্শনের মাঝেই..বিশেষ করে তুলে ধরতে হয় ষ্ট্রাইকার নওশের-সালাম ও হাফিজউদ্দিনের কথা..নওশের ছিলেন লীগের সবোর্চ গোলদাতা..২১টি গোল করে সেরা ষ্ট্রাইকার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন নওশের..এছাড়া সালাম ১১ ও হাফিজ ৮ গোল করে নৈপুন্য দেখান..আসরে এতিন ষ্ট্রাইকারই করেন ৪০ গোল..আর মোহামেডান লীগে রের্কড পরিমান ৬৫ গোল করেছিলো..আর গোল হযম করা হয় মাত্র ১৪টি..
…এখানে তুলে ধরতে হয় যে ইতিপুর্বে ১৯৪৮ সালে শুরু হওয়া ঢাকা ফুটবল লীগে মোহামেডান ৭বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলো..১৯৭৫ সালে গিয়ে শিরোপা জয় করার ফলে ওয়ান্ডারার্সকে(৭বার লীগ বিজয়ী) পেছনে ফেলে সর্বাধিক ৮বার ঢাকা লীগে চ্যাম্পিয়নের রের্কড গড়ে মোহামেডান..এখানে উলেখ্য যে ঢাকার লীগ ফুটবলের প্রথম ৯ আসরের মাঝে ৬ বারই লীগে জয়ের স্বাধ নিয়েছিলো ওয়ান্ডারার্স ক্লাব..ওদিকে ৭৪’সালে লীগে নবম স্হান পাওয়া মোহামেডান ৭৫’সালে এসে নিজেদের শ্রেষ্টত্ব প্রমান করে..
…ডবল লীগ পদ্বতিতে অনুষ্টিত ’৭৫ সালের আসরে মোহামেডান ৩০ খেলায় সর্বোচ ৪৯ পয়েন্ট লাভ করে চ্যাম্পিয়নের গৌরভ অর্জন করেছিলো..৬ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে লীগ রার্নাস আপ হয বিজেআইসি..লীগের শেষ গুরুত্বপুর্ন খেলা দেখার জন্য সেদিন ঢাকা ষ্টেডিয়ামে তিল ধরনের যায়গা ছিলোনা..প্রায় হাজার তিরিশ দর্শক মাঠে এসেছিলেন আকর্ষনীয় খেলা দেখার আশানিয়ে..তবে হতাশাজনক দিক ছিলো সেদিন বিজেআইসি মাঠেই আসেনি খেলার জন্য..ফলে ওয়াক ওভার দিয়ে লীগের যবনিকাপাত ঘটে..যা কিনা মাঠ ভরা দর্শকদের চরম ভাবে হতাশ করে..বিজেআইসি তাদের ৩০ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিলো..আর আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ৪১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্হান দখল করে..এখানে উলেখ্য মোহামেডান তাদের ৩০ খেলার মাঝে জয়ের স্বাদ নেয় ২১ ম্যাচে..ড্র ৭ এবং হার স্বীকার করে মাত্র দুখেলায়..রহমতগনজ ও ইষ্টএন্ডের কাছে দুটো খেলায় হেরেছিলো মোহামেডান..এদুটো ম্যাচেই ০-২ গোলে হারের লজ্জায় মাঠ ছাড়ে দলটি..’৭৫ এর লীগ আসরে মোহামেডান ৭-০ গোলের ব্যাবধানে সবচেয়ে বড় জয়টি পায় পুলিশের বিরুদ্বে..আর স্মরনীয় একটি জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনীকে ৪-০ গোলের ব্যাবধানে হারিয়ে..যে স্মৃতি আজও জ্বল জ্বলে হয়ে আছে অনেকেরই কাছে..
t islam tarique
Jan 07. 2013
কিরন ভাই আজ এই সব পুরাতন খবর দেখেই সব ভুলে থাকতে চেষ্টা করি । সেই মোহামেডান আর আজকের মোহামেডান বহুত ফারাক । তাইতো বলতে হয় ” কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেল গুলো সেই আজ আর নেই ” । ধন্য বাদ কিরন ভাই । মাঝে মাঝে এরকম ভালো পুরাতন রিপোর্ট দিয়ে আমাদের চাঙ্গা রাখতে চেষ্টা করবেন ।
Bashar
Oct 18. 2014
আমি ১৯৮১ সাল এবং ১৯৮৫ সালের ফুটবল লীগের আবাহনী – মোহামেডান ম্যাচের ফলাফল জানতে চাই । কেউ তথ্য দিবেন কি ?
Saleque Sufi
Jul 01. 2015
I have happy memories of this team. Was associated in some ways with MSC at that time . Was there a regular addabaz in the evening in the club tent , had almost family like relation with top players , used to write regularly match reports . Used to associated with the cricket team and later played several matches in 1977 and 1978 .
That was a golden time of Bangladesh sports .The stadium area used to be humming with sporting activities .