ক্রিকেটের অনেক প্রিয় ও পরিচিত মুখের মাঝে একদিন

ক্রিকেটের অনেক প্রিয় ও পরিচিত মুখের মাঝে একদিন..তাও আবার কারো করো সাথে দেখা হলো প্রায় দেড় যুগেরও পর..ঢাকার ক্রিকেটের এক সময়ের কৃতি ব্যাটসম্যান বড় ডালিম নামটি আজকের অনেকের কাছেই অজানা..হবারই কথা..আমেরিকার নিউইর্য়কে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করছেন দুই দশকেরও অধিক সময় ধরে..বলতে হয় সুনামের সাথেই ঢাকা ক্রিকেট লীগ খেলে গেছেন প্রায় এক যুগ..খেলেছেন ইগলেটস ক্লাব-আজাদ বয়েজ-ও ব্রার্দাস ইউনিয়নে..নারায়নগনজ লীগে খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন রেইনবোর হয়ে..জাতীয় ক্রিকেটও খেলেছেন নারায়রগনজের হয়ে..

ডালিম ভাইয়ের কটি ইনিংসের কথা না তুলে ধরে পারলামনা..যেগুলো আজও মনে পড়ে..এর মাঝে ১৯৮৪ তে অগ্রনী ব্যাংকের সাথে অপরাজিত ৭৪ রান,’৮৬তে অগ্রনী ব্যাংকের সাথে ৬২ রান,আজাদ বয়েজের সাথে ৬২ রান,৮৫তে মোহামেডানের সাথে ৬৮ রান এবং নারায়নগন্জ লীগে তৌফিক সাত্তারের বিরুদ্বে করা অপরাজিত শতরানের(১১৩) ইনিংস গুলো ছিলো তুলে ধরার মত…বিশেষ করে ৮৫-৮৬ মরসুমে এক গুরুত্বপুর্ন খেলায় ডালিমের দায়িত্বশীল সর্বোচ ৬৮ রানের সুবাদে ব্রার্দাস ১ উইকেটে মোহামেডানকে হারালে তাদের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ডুবে যায়…এতে করে শিরোপার স্বাধ নেয় আবাহনী..

ক্রিকেট লীগ খেলা আর লেখালিখির কারনে ডালিম ভাইয়ের সাথে আমার এক সময় দারুন সখ্যতা ছিলো..সেই কাছের মানুষটির সাথে আমার প্রায় দুই দশক পর দেখা হয়েছিলো নিউইর্য়কে..তারপর ফের দেখা এইত কদিন আগে..একমাত্র ছেলে ফাইয়াজের বিয়ের কারনে আসেন ঢাকায়..ফাইয়াজ বড় হয়েছেন নিউইর্য়কেই..পড়াশোনাও শেষ করেছেন ওখানেই..তার বিয়ে হলো বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় টিভি তারকা মোনালিসার সাথে..

বউভাতের অনুষ্টানে গিয়েই পেলাম দেখা একঝাক পুরানো খুব পরিচিত ক্রিকেটারের সাথে..কারো মুখ দেখা হলো কুড়ি বছরেরও পরে..দেখা মিললো ছয়জন জাতীয় ক্রিকেট দলের দলনায়কের সাথেও..প্রিয় মুখ গুলো হলো লিপু-নান্নু-আকরাম-সুজন-ফারুক ও সুমন.

এছাড়াও মুখোমুখি হলাম দীর্ঘদিন পর অনেক পরিচিত ক্রিকেটারের সাথে..যাদের সাথে এক সময় ছিলাম খুবই ঘনিষ্ট…এদের মাঝে ছিলো জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার বাদশা-মিশা-মুনির-শান্টু-সুরু-আতহার আলী খাঁন-মোঃ আলী…

..দেখা হলো অতি পরিচিত ও অনেকেরেই প্রিয় ক্রিকেট সংঘঠক ববি ভাইয়ের সাথে ও আবাহনীর ভুলু ভাইয়ের সাথে….ছিলো ঢাকার ক্রিকেটের একসময়ের পরিচিত মুখদের মাঝে সিরাজ-মাহবুব-মিজান-মোস্তাফিজ-শোভন-মনু-জয়নাল-পারভেজ-সেলিম-শ্যামল-জিল্লুর-এফি-পার্থ-তিয়াস-ঢাকার ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরীয়ান আহসান জহির-হাকিম-শাব্বীর-শাওন..

আর বর্তমান তারকা ক্রিকেটারদের মাঝে দেখা গেলো শুধু জুনায়েদের..দেখা হলো দুই জাতীয় কোচ জালাল ভাই ও ওসমান ভাইয়ের সাথে এবং এক সময়ের খ্যাতিমান আম্পায়ার কাজী মিশু ভাই ও টুটুল ভাই,ঝুনু ভাই ও শাহিনের সাথে..

..অনেক ক্রিকেট তারকার মাঝে একমাত্র ফুটবল তারকার দেখা পেলাম এক সময়ের মাঠ কাঁপানো খ্যাতিমান ফুটবলার আবাহনী-মোহামেডান তথা জাতীয় দলের মন্জু ভাইয়ের..

এক সাথে পুরানো এতগুলো পরিচিত প্রিয় মুখের মুখোমুখি হয়ে যে বেশ কিছুটা সময় ভালই কেটেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা..হলো যেমন স্মৃতিচারন তেমনি আলাপচারিতা..স্মৃতিচারনের পালায় হাসির খোরাক ও দিলেন মিশু ভাই ও ঝুনু ভাই…ইগলেটসের পুরানো ক্রিকেটার রসিক স্বভাভের সিরাজ ভাইকে সামনে পেয়েই ঝুনু ভাই বলতে লাগলেন লীগের খেলায় প্রায় সময়েই নাকি সিরাজ ভাই হঠাৎ করেই দুই আম্পায়ার ও দলনায়ককে ডেকে নিয়ে বলতেন খেলায় আজ দুদলেরই ব্যাটসম্যানদের ষ্টাম্প বরাবর বল পায়ে লাগলে কোন আউট নেই..মিশু ভাই শোনান সিরাজ ভাইয়ের আরেক মজার ঘঠনা..সত্তর দশকের দিকে সরন্জামের ছিলো বড়ই অভাব..সে সময় থাই গার্ড বলতে কিছু ছিলোইনা বলা যায়…আর তাই সিরাজ ভাই নাকি পুরানো ছেড়া হাতের গ্লাভস প্যান্টের দুপকেটে ভরে রাখতেন থাই গার্ড হিসেবে…

ষ্টেডিয়ামে গিয়ে খেলার ছবি তোলার অভ্যাসটা ছেড়েছি বহু আগেই তবে সখটা যেন রয়েই গেছে..আর তাই পুরানো প্রিয় খেলোয়াড়দের মুখ গুলোকে সামনে পেলেই হাতের নাগালে থাকা ছোট ক্যামেরাটা যেন ক্লিক করে উঠে…তাইত একঝাক তারকাকে এক সাথে দেখতে পেয়ে তোলা হলো বেশ কিছু ছবি…এখানে তারই কিছু তুলে ধরলাম…